প্রকাশিত: মে ২২, ২০২১, ০৫:০৩ পিএম
এডিস
মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা না হলে
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে
জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী
মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘বারবার
সচেতন করার পরও যারা
বাসাবাড়ি এবং আশপাশে পানি
জমিয়ে রেখে এডিস মশার
প্রজননে ভূমিকা রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শনিবার
(২২ মে) সকালে রাজধানীর
মিরপুরে ঢাকা উত্তর সিটি
করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত এডিস মশা এবং
ডেঙ্গু/চিকুনগুনিয়া সচেতনতা অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা
বলেন।
মন্ত্রী
বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষে
বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা নিধন করা
কঠিন। তাই মাঠে-ময়দানে
প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। একজন
মানুষের গাফিলতির কারণে পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে না ।
আর এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তাই মশার প্রজননস্থল ধ্বংস
না করলে দুই সিটি
করপোরেশন থেকে মোবাইল কোর্ট
পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তাজুল
ইসলাম বলেন, ‘দুই সিটি করপোরেশনে
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে দশজন
করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের
মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সবাইকে জবাবদিহিতার
আওতায় আনা হবে।’
এ
প্রসঙ্গে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘মশার এই উপদ্রব
থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে জনসচেতনতা।
এরই অংশ হিসেবে আমরা
আজকের এই প্রচারণা চালাচ্ছি।
এডিস মশা কমাতে হলে
জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয়। সব মানুষ
স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করলে এই এডিস
মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে
না।’
মন্ত্রী
আরও বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ছাদে পানি
জমে, ফুলের টবে পানি জমে,
টায়ার ও টিউবে পানি
জমে। এসব পরিষ্কার পানি
ছাড়াও নির্মাণাধীন বাসাবাড়ি, বেজমেন্ট ও পরিত্যক্ত জায়গায়
জমানো পানিতে এ মশা জন্ম
নেয়। তাই বাড়ির আঙিনাসহ
আশপাশে আসবাবপত্রের মধ্যে যাতে পানি জমে
না থাকে সেজন্য সতর্ক
থাকতে হবে। এটা যত
দ্রুত পরিষ্কার করতে পারব তত
তাড়াতাড়ি এডিস মশার প্রজনন
ধ্বংস হবে।‘
তিনি
বলেন, ‘২০১৯ সালের ভয়াবহতা
উপলব্ধি করে আইইডিসিআর পরবর্তী
বছরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যার
তিনগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিলেও মন্ত্রণালয়, দুই সিটি করপোরেশন
এবং সব শ্রেণি-পেশার
মানুষের অংশগ্রহণে সেই পূর্বাভাস মিথ্যা
প্রমাণিত হয়েছে।
এ
প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের
প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সাব-জোনে
ভাগ এবং কার্যকর ওষুধ
নিয়মিত স্প্রে করার কারণে মশার
উপদ্রব যথেষ্ট কমেছে। এক বছরের প্রতিকূলতা
মোকাবেলা করে তার অভিজ্ঞতাকে
কাজে লাগিয়ে আমরা যে প্রস্তুতি
নিয়েছি তাতেই আমরা সফলতা পেয়েছি।
এ
সময় ঢাকা উত্তর সিটি
করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম,
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ
এবং নাট্য অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
রনি/সবুজ/এম. জামান