প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১, ০৩:৩৯ এএম
দেশে সাড়ে ৬ লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.
আবদুল হামিদ। এ ছাড়া ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলনের ২৫তম আসর ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি
‘ডব্লিউসিআইটি ২০২১’ এবং ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২১’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার বিগত এক যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশের চার
স্তম্ভ- কানেক্টিভিটি, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, ই-গভর্মেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশনকে ঘিরে নেয়া অধিকাংশ পরিকল্পনা
বাস্তবায়ন করেছে। ফলে দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমানো, অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল যন্ত্র হাতের নাগালে আনার পাশাপাশি
মানুষের হাতের মুঠোয় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। জনগণ এখন ঘরে বসেই দুই শতাধিক
নাগরিক সেবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাচ্ছে।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘২০২১ সালে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বিশ্ব
সম্মেলনের ২৫তম আসর ‘ডব্লিউসিআইটি ২০২১’-এর আয়োজক বাংলাদেশ। এটা আমাদের জন্য গৌরবের
বিষয়। এ আয়োজন অবশ্যই বাংলাদেশে আইসিটি খাতের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুয়ালাইজার’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে
যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ
আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। ২০০৯ সালে দেশের মাত্র ৮ লাখ মানুষ
ইন্টারনেট সেবা পেত। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে
১২ কোটির বেশি। এ সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে চারগুণের বেশি।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বাংলাদেশের জন্য
কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার প্রমাণ আমরা পাই করোনা মহামারির দুঃসময়ে। মহামারি
মোকাবিলায় সবচেয়ে নির্ভরশীল মাধ্যম হয়ে ওঠে তথ্যপ্রযুক্তি। দেশের শিক্ষা কার্যক্রম, বিচারিক কার্যক্রম, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংকিং সেবা হয়ে
পড়ে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর। কোভিড-১৯ মহামারিকালে তথ্যপ্রযুক্তির স্থানীয় বাজার
অকল্পনীয় প্রসার লাভ করেছে।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে
স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যার দিক থেকে সারা বিশ্বে
আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে সাড়ে ৬ লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তাদের
পেশাগত উন্নয়নে আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে।’
শামীম/এম. জামান