প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম
৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে উত্তপ্ত ফেসবুক। এ ঘোষণাকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে রাত পৌনে দশটার দিকে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘এটা মুজিববাদের কবরের ঘোষণা।’
এই পোস্টের আধঘণ্টা আগে হাসনাত আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রোক্লামেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন (জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা)। ৩১ ডিসেম্বর, শহীদ মিনার। বিকাল তিনটায়।’
এ বছরের শেষ দিন বিকাল তিনটায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন ছাত্র-আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রিড়া ও যুব উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘কমরেডস, নাউ ওর নেভার।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘অল আয়েজ ওন শহীদ মিনার, ৩১ ডিসেম্বর, সময় বিকাল তিনটা।’ওই কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেনও শনিবার রাত আটটায় ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, এ বছরেই হবে। ৩১ ডিসেম্বর। ইনশাআল্লাহ!
কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম লিখেছেন, ‘৩১ ডিসেম্বর! শহীদ মিনার, বিকাল ৩টা। এখনই সময়, বাংলাদেশের জন্য...’
ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের, আব্দুল হান্নান মাসুদ এবং রিফাত রশিদও লিখেছেন, অল আইজ অন থার্টি ফার্স্ট ডিসেম্বর, নাউ অর নেভার (সবার চোখ ৩১ ডিসেম্বরে। এখন অথবা কখনো না। )
জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত প্রক্রিয়ার নানা ঘটনাবলি নিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
প্রসঙ্গত, ‘মুজিববাদ’ বলতে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন বোঝায়। এ নিয়ে এর আগেও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। মুজিববাদের তীব্র সমালোচনা করে তারা এটিকে মুছে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে সব দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠার কারণে তোপের মুখে পড়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রদের দাবি, বাকশালের মাধ্যমে শেখ মুজিব ফ্যাসিবাদের শিকড় গেড়েছিলেন, আর তার কন্যা শেখ হাসিনা সেটার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন।