প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১, ০৬:২৯ পিএম
ফটোসাংবাদিক শফিকুল
ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায়
অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
ফলে এসব মামলার আনুষ্ঠানিক
বিচার শুরু হয়েছে।
সোমবার
(৮ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা, হাজারীবাগ
ও কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা মামলায় চার্জ
গঠনের আদেশ দেন। এসময়
আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কাজল।
কাজলের
পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নজরুল ইসলাম
শামীম চার্জ গঠনের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার
বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
গত
বছর যুব মহিলা লীগ
নেত্রী পাপিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করায়
৯ মার্চ রাজধানীর শেরে বাংলা নগর
থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন
মাগুরা-১ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও
১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি
মামলা হয়।
এরপর
গত বছর ১০ মার্চ
সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের
হওয়ার পর সাংবাদিক শফিকুল
ইসলাম কাজল নিখোঁজ হন।
১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী
জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন। পরে ১৮
মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ
করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায়
মামলা করেন তার ছেলে
মনোরম পলক।
নিখোঁজের
৫৩ দিন পর গত
২ মে রাতে যশোরের
বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে
ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের
সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
পরদিন
অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের
করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে কোতোয়ালি
মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর
একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো
হয়।
গত
বছর ২৫ ডিসেম্বর জামিনে
মুক্তি পান কাজল। পরে
তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
নূর/ডাকুয়া