প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১, ১১:২৪ পিএম
আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট র্যাংকিং আরও পিছিয়েছে বাংলাদেশ। পেছাতে পেছাতে এ বছর
বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১০৮ নম্বরে। বর্তমানে ৪০টি গন্তব্যে ভিসামুক্ত
প্রবেশাধিকার পান বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা। এ তালিকায় পার্শ্ববর্তী অনেক দেশই
বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ২০২১ সালের র্যাংকিংয়ে মালদ্বীপ ৬৬, ভারত ৯০, ভুটান ৯৬, এমনকি শ্রীলঙ্কাও
রয়েছে বাংলাদেশের চেয়ে এক ধাপ ওপরে। অথচ মাত্র দেড় দশক আগে বাংলাদেশ পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে
ভারতের চেয়েও এগিয়ে ছিল।
২০০৬ সালের হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৬৮তম আর ভারত ছিল
৭১তম। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে পিছিয়েছে পুরো ৪০ ধাপ। আর
শেষ এক বছরের ব্যবধানে পিছিয়েছে ১০ ধাপ। ২০২০ সালে এই তালিকায় ৯৮তম ছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার হিসাব করলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের
সন্তুষ্টই হওয়া উচিত। কারণ, ২০০৬ সালে বাংলাদেশিরা ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার
পেতেন মাত্র ২৮টি গন্তব্যে। সেই তুলনায় এখন এমন স্থানের সংখ্যা এক ডজন বেশি।
তাছাড়া এখন যেমন হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স তৈরি হয় ২২৭টি গন্তব্যে ১৯৯টি পাসপোর্টের
প্রবেশাধিকার বিবেচনায়, ২০০৬ সালে এগুলোর সংখ্যাও ছিল অনেক কম।
২০১০ (র্যাংকিং ৮৫) ও ২০১৪ (র্যাংকিং ৮৬) সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টে
ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই সময় বাংলাদেশিরা মোট ৪২টি গন্তব্যে
আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারতেন। ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের হিসাবে ২০১৭ সাল ছিল
বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর। ওই সময় এ ধরনের গন্তব্যের সংখ্যা নেমে
গিয়েছিল ৩৮-এ (র্যাংকিং ৯৫)। পরে পরিস্থিতির আবারও উন্নতি হয়। গত বছর এমন
গন্তব্যের সংখ্যা ছিল ৪১, তবে এ বছর একটি কমে তা ৪০-এ দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের ৪০টি
গন্তব্যের মধ্যে ১৯টিতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যায়। ইলেক্ট্রনিক ভিসা পাওয়া যায়
শ্রীলঙ্কা গেলে। আর ভিসা সংক্রান্ত কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় না বাকি ২০টি গন্তব্যে।
বর্তমানে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাওয়া গন্তব্যগুলোর মধ্যে আফ্রিকায় ১৩টি
(মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, উগান্ডা প্রভৃতি), এশিয়ায় তিনটি (মালদ্বীপ, নেপাল, তিমুর-লেস্তে), আমেরিকার একটি (বলিভিয়া) ও ওশেনিয়ার দুটি (সামোয়া, টুভালু) দেশ ও অঞ্চল রয়েছে।
বাংলাদেশিদের পুরোপুরি ভিসামুক্ত সুবিধা দিচ্ছে আফ্রিকার দুটি (গাম্বিয়া, লেসোথো), এশিয়ার দুটি (ভুটান, ইন্দোনেশিয়া), ক্যারিবীয় ১১টি (বাহামাস, জ্যামাইকা, বার্বাডোজ, গ্রেনাডা
প্রভৃতি) এবং ওশেনিয়ার পাঁচটি (ভানুয়াতু, ফিজি প্রভৃতি)
দেশ ও অঞ্চল।
শামীম/এম. জামান