প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২১, ১১:০৬ পিএম
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকাণ্ডের
পর দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। নড়েচড়ে বসে সরকার। অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শুরু
হয় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের পৃথক
তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠন করা কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা।
এসব নাম যাচাই-বাছাই শেষে ১১
নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির সমন্বয়ক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে অতিরিক্ত সচিব
ও কমিটির সমন্বয়ক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির সমন্বয়ক
বলেন, ই-কমার্স খাতের পুনর্গঠনে সাতটি বিষয়ে মেন্ডেট দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সমস্যা
সমাধান ও উত্তরণের পথ বের করতে সুপারিশ করবে কমিটি। আমাদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন জমার জন্য।
গত ১৮ তারিখে কমিটির প্রথম
সভা অনুষ্ঠিত হয় জানিয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ওই সভায় আমাদের সাতটি বিষয়ে নজর
দিতে বলা হয়েছিল বিশেষ করে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়ার জন্য। তিনটি গোয়েন্দা
সংস্থা থেকে তালিকা পেয়েছি।
তিনি বলেন, এক সংস্থার কাছ
থেকে ১৯টি, আরেক সংস্থার কাছ থেকে ১৭টি ও অপর এক সংস্থা থেকে ১৩টি নাম সম্বলিত তিনটি
তালিকা পেয়েছি৷ আমরা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এগুলো সমন্বয় করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল
ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে দেওয়া হবে। তারা তালিকা ধরে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক
হিসাবের খোঁজ নেবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের হিসাব হাতে
পাওয়া যাবে।
আগামী ৯ তারিখে আরেকটি সভা
হবে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, সেই সভায় তিনটি তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর আর্থিক
লেনদেনের হিসাব উপস্থাপন করা হবে। তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১১ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে
তালিকা দেয়া হবে। এ বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যে অভিযুক্ত ১৯টি প্রতিষ্ঠানের
নাম এসেছে, তাদের টাকার পরিমাণ কেমন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার জন্যই তথ্য চাচ্ছি
আমাদের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে। ১৯টি নয় তো, আরও আছে। আরও ১৭টি যে আছে, তার মধ্যে
কমন আছে ৮টি। সেক্ষেত্রে সংখ্যাটি ১৯-এর বেশি হবে। তালিকা তিনটি সমন্বয়ের পর জাস্ট
সিলগালা করে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়ে দেবো।
নূর/এএমকে/এম. জামান