প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০৫:৩৩ পিএম
আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন
করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী
তামিমা সুলতানা তাম্মী। ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের
স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে
রাকিবের করা মামলায় তারা
আত্মসমর্পণ করেন।
রোববার
(৩১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে
জামিনের আবেদন করেন।
এর
আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর
তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের দায়েরকৃত মামলার ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন দাখিল
করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি)। প্রতিবেদন আমলে
নিয়ে বিচারক তাদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য ৩১ অক্টোবর
দিন ধার্য করেন।
গত
২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকা
মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ
মামলা করেন।
রাকিবের
আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান ওই সময় বলেছিলেন,
২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর
(রাকিব হাসান) সঙ্গে ১ নম্বর আসামি
তামিমা সুলতানার ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক ৩ লাখ এক
টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি
হয়। বিয়ের পর থেকে তারা
স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের
তোবা হাসান নামে এক মেয়ে
রয়েছে। যার বর্তমান বয়স
৮ বছর।
মামলা
সূত্রে আরও জানা যায়,
তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।
তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত
রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের
১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান
করেন। এ সময় ফোন
এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।
মামলায়
বলা হয়, চলতি বছরের
২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২নং আসামির (ক্রিকেটার
নাসির) কথিত বিয়ের ছবি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা
বাদীর নজরে আসে। বাদী
এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক
হয়ে যান। পরবর্তীতে পত্রিকায়
এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার
বিষয় নিশ্চিত হন। এ ছাড়া
তাদের গায়ে হলুদ ও
বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০
ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়। যা ইতোমধ্যে
বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।
মামলার
অভিযোগে আরও বলা হয়,
তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় নাসিরের
সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ
হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান
যে, সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং
তার নিকট তামিমা আছেন।
বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা যা
ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে
সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও
অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার
শিশুকন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন।
নূর/ডাকুয়া