প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২১, ০৭:০৩ পিএম
স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো.
তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়,
রাজউক এবং পানি উন্নয়ন
বোর্ডের (পাউবো) অধীনে থাকা খাল ও
জলাশয়গুলো দুই সিটি করপোরেশনের
কাছে শিগগিরই হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি
একই সময় রাজধানীতে ভারী
বর্ষণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা
নিরসনে হাতিরঝিলের সব বন্ধ স্লুইস
গেট খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত
দেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার
(১৮ মে) মন্ত্রণালয় থেকে
ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা মহানগরীর খাল
এবং প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক
আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব
কথা জানান।
স্থানীয়
সরকারমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসার ২৬টি
খাল দুই সিটি করপোরেশনের
কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্ব
গ্রহণের পর থেকেই দুই
মেয়র ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায়, খালসমূহ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে অত্যন্ত
গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর
বাইরেও রাজধানীতে ১৭টি খাল রয়েছে।
এই খাল ও জলাশয়গুলো
ঢাকা উত্তর সিটি (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি
করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কাছে শিগগিরই হস্তান্তরের
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী
আরও জানান, হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয়
সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে
আহ্বায়ক করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/সংস্থা ও দফতরের প্রতিনিধি
নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি
গঠন করা হবে। এই
কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই
রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট অনুযায়ী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
এ
ছাড়া, দুই সিটি করপোরেশন
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত খাল
ও জলাশয়গুলো সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণে তাদের
পরিকল্পনার কথা জানাবেন বলেও
উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা
ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত খালের
মতো গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়,
রাজউক এবং পানি উন্নয়ন
বোর্ড থেকে প্রাপ্ত খালগুলো
সংস্কার-সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণেও কার্যকর
ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করেন
মন্ত্রী।
সভায়
অন্যদের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
মো. শরীফ আহমেদ, নৌপরিবহন
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের
উপমন্ত্রী এ কে এম
এনামুল হক শামীম, স্থানীয়
সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের
সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ/সংস্থা ও দফতরের প্রতিনিধিরা
যুক্ত ছিলেন।
তরিকুল/সিআর/এম. জামান