• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

মণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১, ০২:৫০ এএম

মণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ

সিটি নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা নগরের সুজানগর এলাকায়।

বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

এসপি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এই নাটকীয় অগ্রগতি হয়েছে। ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

এ দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতে দেখা যাচ্ছে এক যুবক মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে রাস্তার দিকে আসে। কিছুক্ষণ পর দেখলাম তার হাতে কোরআন শরিফ নেই। হনুমান ঠাকুরের গদা হাতে নিয়ে তিনি ঘোরাঘুরি করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি গতকালও বলেছি তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই যুবক মোবাইল ব্যবহার না করার কারণে তাকে ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না। এখন পর্যন্ত তিনি ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছি। যেকোনো সময় তাকে গ্রেফতার করা হবে।’

শারদীয় দুর্গাপূজার মহা-অষ্টমীর দিন বুধবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদীঘির উত্তর পাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলাভাঙচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় নিহত হয়েছিলেন দুইজন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দুদের মন্দিরমণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়েছে দেশের আরও অনেক এলাকায়।

কুমিল্লা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবারের ওই ঘটনার পর গত এক সপ্তাহে ঢাকা ও কুমিল্লা পুলিশের কয়েকটি দল তদন্তে নামে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ইকবাল হোসেনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, ইকবাল হোসেন ভবঘুরে। তার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ