
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১, ০৪:০৬ এএম
র্যাপিড অ্যাকশন
ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪
এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি
মোজাম্মেল হক। একজন প্রতিভাবান
লেখক। সমসাময়িক, শিক্ষা ও সতর্কমূলক বিষয়
নিয়ে প্রায় সময়েই ব্যক্তিগত ফেসবুকে
লেখেন। দেশ-বিদেশের নানা
রকম অভিজ্ঞতার কথা নিপুণভাবে ফুটিয়ে
তোলেন তার লেখনীর মাধ্যমে।
মঙ্গলবার
(১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে
সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া
ঘটনার অবলম্বনে লিখেছেন। ধর্ম, ধর্মচর্চা, ধর্মের অনুসারী ও রাষ্ট্রীয় আইনের
পাশাপাশি সকল ধর্মে পাপাচারের
বিষয় উঠে এসেছে এই
লেখনীতে। সিটি নিউজ ঢাকার
পাঠকদের জন্য তা হুবহু
তুলে ধরা হলো-
মানুষ
ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণী
ধর্মচর্চা করে না। কোনো
ধর্মের অনুসারী হতে হলে তাকে
প্রথমে মানুষ হতে হয়। আর
হিতাহিত জ্ঞানসম্পন্ন ধর্মপ্রাণ কোনো মানুষ অন্য
ধর্মের অবমাননা হয় বা মানুষের
ক্ষতি হয় এমন কাজ
বা উক্তি করতে পারে না।
গুজব বা মিথ্যা অপপ্রচার
চালানো রাষ্টীয় আইনের পাশাপাশি সকল ধর্মে নিষিদ্ধ
এবং বড় ধরনের পাপাচার
মর্মে স্বীকৃত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু
কুচক্রীমহল, যাদেরকে মানুষ না বলে অমানুষ
বলা উত্তম। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
পূর্বের কোনো হত্যা, মারামারি,
অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার ভিডিও
বা ছবি এডিট বা
ফটোশপের মাধ্যমে কাল্পনিক ক্যাপশন বা ভয়েস যোগ
করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যা শুধু গর্হিত
অন্যায় বা নিন্দনীয়ই নয়,
মানবতাবিরোধী অপরাধও বটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
মিথ্যা তথ্য, ভীতি ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি-পেশা সংক্রান্তে মিথ্যা
গুজব ছড়ানো তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গুরুতর অপরাধ
মর্মে বিবেচিত। এ ধরনের মিথ্যা
গুজব কন্টেন্ট সম্বলিত তথ্য দিয়ে ফেসবুক
বা টুইটার বা ইউটিউবে পোস্টকারী,
শেয়ারকারী, লাইক প্রদানকারী এবং
মিথ্যা গুজবের পক্ষে মন্তব্যকারী আইনের চোখে অপরাধী। পুলিশ, র্যাবসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
এ ধরনের সাইবার অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে
কাজ করে যাচ্ছে।
সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টার সঙ্গে
জড়িত সাইবার অপরাধীদের শনাক্তকরণসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
ধৈর্য, সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মানবিকতা, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে মিলেমিশে বসবাস করা আমাদের দেশের
হাজার বছরের সংস্কৃতি।
আসুন,
আমরা সবাই মিলেমিশে সাম্প্রদায়িক
অপশক্তিকে পরাস্থ করি। আমাদের মহান
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুযায়ী সৌহার্দ্য, সহ-অবস্থান, শান্তিপূর্ণ
ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ি এবং
ভালোবাসার পৃথিবী গড়ে তুলি।
নূর/এম. জামান