প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১, ০৪:১৩ পিএম
রাজনীতির ইতিহাসে
তাদের পরিচয় রহস্যপুরুষ। একজন সিরাজুল আলম খান ও অন্যজন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
একসঙ্গে রাজনীতির মাঠে বহু পথ পাড়ি দিলেও দশকের পর দশক তাদের দেখা নেই। টানা পঁয়তাল্লিশ
বছর পুরনো সেই স্মৃতির কারণে ছুটে গেছেন এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাছে।
লেখক
ও রাজনৈতিক গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদের ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন-
১৯৬২ সাল। ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেক্রেটারি শেখ ফজলুল হক মণি,
এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সিরাজুল আলম খান, কালচারাল সেক্রেটারি মাহবুব তালুকদার। মাহবুব
তালুকদার আবার ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার এবং ছাত্রলীগের একুশে সংকলনের সম্পাদক।
তার
সঙ্গে দুজনের ‘তুই সম্পর্ক, শেখ মণি আর সিরাজুল আলম খান। ঘনিষ্ঠ বন্ধু তার।
শেখ
মণি আর নেই। মাহবুব আর সিরাজ পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার ও কথা বলার আগ্রহ দেখালেন। আমি
হলাম অনুঘটক।
কাল
বিকেলে (১৩ অক্টোবর) মাহবুব তালুকদার আমার বাসায় এসে আমাকে তুলে নিয়ে গেলেন সিরাজুল আলম
খানের কাছে। বন্ধুর জন্য বই আর ফল নিলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ও কি মিষ্টি খায়? বললাম,
সব খায়। ডায়াবেটিস নেই। পথে পড়ল বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। বন্ধুর জন্য কিনলেন সন্দেশ।
সকালেই
খবর দিয়েছিলাম, শেষ বিকেলে আমরা দুজন আসব। ঘরে ঢুকেই দুজন দুজনের দিকে অপলক তাকিয়ে
থাকলেন কিছুক্ষণ। 'কি রে, কেমন আছিস' বলে কথা শুরু। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর দেখা হলো দুজনার।
তৈরি হলো এক আবেগঘন পরিবেশ। দুজন দুজনের মুখে সন্দেশ তুলে দিলেন। তারপর ঘণ্টাখানেক
আড্ডা, কফি পান, স্মৃতিচারণ। ফেলে আসা দিনগুলোর কথা- তাদের বন্ধুদের আর কে কে বেঁচে
আছেন, কোথায় আছেন। আমি একটা অসম্ভব সুন্দর সন্ধ্যার সাক্ষী হয়ে থাকলাম। জানি না, তাদের দুজনের আবার দেখা হবে কি না। দুজনেই আশি পেরিয়েছেন। ভগ্ন স্বাস্থ্য। ছলছল চোখে পরস্পরের
কাছ থেকে বিদায় নিলেন তারা।
এস/এএমকে/এম. জামান