প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১, ১০:২৩ এএম
মাঝে
মাত্র একটা দিন বাকি। ভক্তের এত আয়োজন, এত উচ্ছ্বাস—সব পেছনে ফেলে দেবী
দুর্গা চলে যাবেন কৈলাশে। আসছে বছর আবার আসবেন, এমন আশীষ পাবার
পরও ভক্তমন মায়ের বিদায়কে ঘিরে হয় শোকাতুর। দশমীর দিন করা হবে প্রতিমা বিসর্জন,
অশ্রুশিক্ত চোখে ভক্তরা বিদায় দেবেন দেবী দুর্গাকে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ৯টা ৫৭ মিনিটের আগেই কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজার মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি নিবেদন করেন। এবার গত ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দেবী এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে এবং আগামীকাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দশমীর দিন বিদায় নেবেন দোলায় বসে।
সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এ সময়। এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। এই দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমী রাতে তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে হচ্ছে দুর্গাপূজা। গত বছরের চেয়ে এবার পূজার সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজা হচ্ছে ২৩৮টি মণ্ডপে, যা গত বছরের চেয়ে চারটি বেশি।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ থাকতে ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
জেডআই/এএমকে