প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১, ০২:৫৮ এএম
প্রমাণ
মেলেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল
হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অভিযোগের।
রোববার
(৩ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে পুলিশ
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এই তথ্য দাখিল করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের
পরিদর্শক ফরিদা পারভীন লিয়া এ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনটি
শুনানির জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সংশ্লিষ্ট ট্রাইবুনাল
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২০
সালের ১৪ অক্টোবর ফেসবুক লাইভে ‘দুশ্চরিত্রাহীন’ মন্তব্যের অভিযোগে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের
বিচারক আস সাম জগলুল হোসেনের আদালতে নুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
এক নারী শিক্ষার্থী। বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)
তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার
এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ১২ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক আড়াইটার সময় নুর তার ফেসবুক আইডি
থেকে বাদিকে চরিত্রহীন বলে স্ট্যাটাস দেয়, যা একটি মেয়ের জন্য খুবই অপমানজনক। আসামি
ফেসবুক লাইভে এসে এরকম কথা বলায় বাদির সুনাম নষ্ট ও মানহানি হয়। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইনের ২৫(১)/ক, ২৯(১) ও ৩১(২) ধারায় অপরাধযোগ্য।
মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, নুরের ফেসবুক আইডি ডিজিটাল ফরেনসিক টিমের
মাধ্যমে পরীক্ষা করে মতামত নেওয়া হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায়, নুরুল হক ২০২০ সালের ১১
অক্টোবর বাদিকে উদ্দেশ করে ‘ছি! আমরা ধিক্কার জানাই এত নাটক যে করছে সে দুশ্চরিত্রাহীন।
ধর্ষণের নাটক করছে স্বেচ্ছায় একটি ছেলের সাথে বিছানায় গিয়ে’
নামে যে বক্তব্যটি প্রচার করেছেন বলা হয়েছে, এমন কোনো বক্তব্য তার ফেসবুকে পাওয়া যায়নি।
এ জন্য নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ (১)ক, ২৯(১) ৩১(২) ধারায় অপরাধ
প্রমাণিত হয়নি।
এর
আগে গত বছরের ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থী নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণের
সহযোগিতার অভিযোগ এনে কোতোয়ালী ও লালবাগ থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন।
ইফাত