প্রকাশিত: মে ১১, ২০২১, ০৫:৩২ পিএম
ঈদ
সমাগত। কিন্তু ৭০ ভাগ সংবাদমাধ্যমের
সাংবাদিকরা এখনও উৎসবভাতা থেকে
বঞ্চিত রয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ ও আংশিকভাবে ৩০
ভাগ সংবাদমাধ্যমে বেতন-ভাতা পরিশোধ
করা হয়েছে। অথচ বেতন-ভাতা
খেলাপি সংবাদপত্রের কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে। সরকার সংবাদপত্রে যেসব ভর্তুকি বা
বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে, তা
মূলত সাংবাদিকদের আর্থিক সুবিধার জন্যই দেয়।
মঙ্গলবার
(১১ মে) ঢাকা সাংবাদিক
ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক
সাজ্জাদ আলম খান তপু
এক বিবৃতিতে উৎসব ও বেতন-ভাতা খেলাপি মালিকদের
এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মে
মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালে
কর্মরত সংবাদিকদের বকেয়াসহ বেতন ও উৎসব
ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছিল ডিইউজে।
এই দাবি জানানোর পরে
বেশ কিছু সংবাদপত্র ও
টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ বেতন-ভাতা-বোনাস
দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানান ডিইউজে নেতারা।
একই
সঙ্গে ৭০ ভাগ সংবাদপত্র,
টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টাল
বেতন-ভাতা-বোনাস পরিশোধ
না করায় বিবৃতিতে চরম
ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিইউজে সভাপতি
ও সাধারণ সম্পাদক বিবৃতিতে বলেন, এতে পেশাদার সাংবাদিকদের
মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ,
অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা।
বিবৃতিতে
নেতৃবৃন্দ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যেসব
প্রতিষ্ঠান নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ
করে থাকে, তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া দরকার। বেতন-ভাতা খেলাপিদের তালিকা
তৈরির জন্য ডিএফপির প্রতি
আহ্বান জানান ডিইউজের নেতারা।
একই
সঙ্গে, খেলাপি মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে নেতারা বলেন, করোনা মহামারির এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে
সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত বরদাশত করা হবে না।
ইতোমধ্যে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের
অবিলম্বে পুনর্বহালের দাবি জানান ডিইউজে
নেতৃবৃন্দ।
সিআর/এম. জামান