• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

তামিমা ফিরলে মেনে নেবেন রাকিব

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ০৪:০৯ পিএম

তামিমা ফিরলে মেনে নেবেন রাকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিয়ে বৈধ নয়। আদালতে জমা দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে। সেই সূত্রে তামিমাকে নিজের বৈধ স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী রাকিব হাসান।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। লিগ্যালভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জাল-জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ।

রাকিব হাসানের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত নাসির হোসেন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মী এবং তাম্মীর মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

 আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে রাকিব বলেন, “পিবিআইর সুষ্ঠু তদন্তে বেরিয়ে এসেছে প্রকৃত ঘটনা। নাসির এবং আমার স্ত্রী তামিমা অবৈধভাবে বিয়ে করেছে। তাই এখন আমি অবশ্যই তামিমাকে আমার ঘরে ফেরত নেবো। তাকে বরিশাল নিয়ে যাব। আমার মেয়েকে দেখাশোনা করবে।”

 রাকিব আরও বলেন, ‘আমার দায়ের করা মামলায় যেহেতু আদালতে চার্জশিট জমা হয়েছে, সেহেতু বিচারিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়েই আমি এমনটা চাইব। তাই তামিমা, নাসির এবং তামিমার মাকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক- এমনটাই আমার চাওয়া।

তিনি যখন কথা বলছিলেন তখনও অবস্থান করছিলেন আদালতে। নাসির-তামিমাকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। যদি না আসেন তাদের গ্রেফতার করা হবে। রাকিব এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের পরবর্তী নির্দেশের দিকে।

এর আগে নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন এ সংক্রান্ত মামলার বাদী ও তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব।

রাকিবের হয়ে এ আবেদন করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান। ওই সময় নথি পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন বলে জানান আদালত।

এরও আগে ওই আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। এতে ক্রিকেটার নাসির, তামিমা ও তামিমার মা সুমিকে দোষী উল্লেখ করা হয়।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ