প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ০২:৪৩ পিএম
গ্রেফতারকৃত
মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে চার্জশিট
দিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। ভাটারা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে
করা মামলায় এই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে
এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে বুধবার
(১১ আগস্ট) তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন
আদালত। এ দিন তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে
পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ভাটারা ও গুলশান থানার মাদক আইনের
পৃথক দুই মামলায় আবারও পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি।
অপরদিকে পিয়াসার
আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা
মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে
পাঠানোর আদেশ দেন।
গত শুক্রবার (৬
আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী শুনানি শেষে তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
করেন। ওইদিন গুলশান থানায় করা মাদকের মামলায় রিমান্ড শেষে আসামি পিয়াসাকে ঢাকা
মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে একই মামলায় আরও ১০ দিনের রিমান্ডে
নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এ ছাড়া ভাটারা থানার
মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিন ও খিলক্ষেত থানায় গ্রেফতার দেখানোসহ সাত দিনের
রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক গুলশান
থানার মামলায় দুই দিন, ভাটারা থানার মামলায় তিন দিন ও
খিলক্ষেত থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার (২
আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত মডেল পিয়াসার তিন
দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার (১
আগস্ট) রাত ১০টার দিকে প্রথমে রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান শুরু
করে পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি
কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এ দিকে পিয়াসার
দেওয়া তথ্যে আরেক মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বাসায়
অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করা হয়। পরে
রাত ১টার দিকে মৌকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকেও ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া
হয়।
পুলিশ জানায়,
মডেল
পিয়াসা ও মৌ সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সদস্য। তারা পার্টির নামে উচ্চবিত্তদের বাসায়
ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল
করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
দুই মডেলকে
আটকের পর বাবর রোডে মৌয়ের বাসার নিচে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের
গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
সে সময় তিনি
বলেছিলেন, তারা দুইজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের
বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আজ
তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুইজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা, সিসা
পাওয়া যায়। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।
ডিবির এই
কর্মকর্তা আরও বলেন, উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে
বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং
ভিডিও করে রাখতেন। পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি
দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
এস/এম. জামান