প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, ০৬:১৬ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে দেশজুড়ে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর)
এক দিনের জন্য করোনার বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের
মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশের সব কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া
হয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে জানাতে আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক লাইভে এ
তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যের ডিজি।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এ টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিশ্বে যখন করোনা মহামারি শুরু হলো,
যখন অনেক দেশই টিকার
অনুমোদন দেয়নি, তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাদেরকে
টিকা সংগ্রহের জন্য অনুমতি দিয়ে রেখেছিলেন। এটা তার দূরদর্শিতার পরিচায়ক।’
টিকাদান কর্মসূচির বিস্তারিত জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার যে গণটিকাদান কর্মসূচি সারা দেশে পরিচালিত হবে সেখানে আমরা শুধু
প্রথম ডোজের টিকা দেবো এবং একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকা
দেবো। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় সব মালামাল সারা দেশে সরবরাহ করেছি, সে কাজ চলছে।
ক্যাম্পেইন শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছা পর্যন্ত
নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকাদান চলমান থাকবে। শেষ টিকা প্রদানের পর আমাদের টিম এক ঘণ্টা
অবস্থান করবে। স্থানীয়ভাবে টিকাদানের সময় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে।
কোনোভাবেই আমাদের ইপিআই সেশনের টিকা দেওয়া বন্ধ রাখা যাবে না।
এই ক্যাম্পেইনে আগে থেকে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী ২৫ বছর বয়সী বা তদূর্ধ্ব‑ তাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘চল্লিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সঙ্গে বয়স্ক, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আমরা বিবেচনায় রাখব। স্তন্যদানকারী মা ও
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনব না। ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় জাতীয়
পরিচয়পত্র ও টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।
উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে কোনো একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ, পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একটি বুথ, সিটি করপোরেশনের
প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩টি বুথের মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সারা দেশে আগে
থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলছিল সেগুলো অব্যাহত থাকবে।’
বিশেষ এই টিকাদান কার্যক্রম চলাকালে সরকারের নিয়মিত সম্প্রসারিত টিকাদান
কর্মসূচি কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না, চালিয়ে যেতে হবে, বলেন তিনি।
অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘বয়স্ক যারা আসবেন টিকা নিতে তাদের জন্য বসার
ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেককে টিকা
নেওয়ার পর অবশ্যই ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।’