প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১, ০৬:২৮ পিএম
রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর
আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পেছাল। আদালত
আগামী ১২ অক্টোবর পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দিন ধার্য করেছেন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান
প্রতিবেদন জমা না দিলে বিচারক আবু সাঈদ নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।
আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা
হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ইফতেখার ফারদিন দিহান ৮ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর
রশিদ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত ৭ জানুয়ারি রাতে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আনুশকার
বাবা মো. আল আমিন মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে তিনি ও তার স্ত্রী কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা
থেকে বের হন। বেলা সাড়ে ১১টায় আনুশকা কোচিংয়ের পেপার আনতে বাইরে যাচ্ছে বলে ফোনে
তার মাকে জানায়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আনুশকা বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
এজাহারে বলা হয়, দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে দিহান আনুশকার মাকে ফোন
দেন। তিনি ফোনে জানান, আনুশকা তার বাসায় গিয়েছিল। সেখানে অচেতন হয়ে
পড়লে তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি
করা হয়। এ কথা শুনে আনুশকার মা ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছেন। সেখানে গিয়ে তিনি
কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
আনুশকার বাবা এজাহারে আরও জানান, তারা বিভিন্নভাবে জানতে
পেরেছেন যে দিহান তার মেয়েকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে দুপুর ১২টার
দিকে বাসায় ডেকে নিয়ে যান। পরে দিহান ফাঁকা বাসায় আনুশকাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণে
প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে আনুশকা অচেতন হয়ে পড়ে। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে
প্রবাহিত করতে দিহান তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার
মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
শামীম/এম. জামান