• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

‘একজন মানুষ থেকে ৪০০ জনে ছড়াতে পারে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২১, ০৯:৪৫ পিএম

‘একজন মানুষ থেকে ৪০০ জনে ছড়াতে পারে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই ভ্যারিয়েন্টে একজন থেকে ৪০০ জন পর্যন্ত মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। রোববার ( মে) বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতকোভিড-১৯ আপডেটশীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘দেশে এটি ছড়িয়ে পড়লে তা সামাল দেয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। অবস্থায় ভ্যাকসিন নেয়া, প্রয়োজনে দুটি মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে হতাশার কারণ নেই। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর যে দেশ থেকেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে; সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট নির্ধারণে জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে, অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশ।

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভ্যাকসিন নিলেও অন্যের সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরতে হবে। ৯৯ ভাগ নয়, সবার জন্য শতভাগ মাস্ক পরা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসির অধ্যাপক ডা. বি এম আব্দুল্লাহ বলেন,করোনা ভাইরাস যা শুধু ফুসফুস নয়, হার্ট, কিডনি, লিভার থেকে শুরু করে শরীরে সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই ভাইরাসটি প্রতিরোধ জরুরি। জন্য মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন দেশেই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন উৎপাদন হবে এবং দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে।

সেমিনারে জানানো হয়, ভাইরাসের জেনেটিক মিউটেশনের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তি হয়। এর মধ্যে কোনো কোনো ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ, ভোগান্তি, জটিলতা মৃত্যুহারের বিবেচনায় অনেক শক্তিশালী হিসেবে লক্ষ্য করা যায়। ভ্যারিয়েন্টগুলো বিভিন্ন মাত্রার শক্তিশালী হলেও ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে। কারণ কোনো ভ্যারিয়েন্টই ভ্যাকসিন থেকে সম্পূর্ণ প্রতিরোধী নয়। ভ্যাকসিন নিলে শরীরে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় তার মাধ্যমে সব ধরনের ভ্যারিয়েন্ট থেকে কম-বেশি রক্ষা পাওয়া যাবে।

আরিয়ান/এম. জামান

আর্কাইভ