প্রকাশিত: মে ৯, ২০২১, ০৯:৩৫ পিএম
চুক্তি
অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়নি ভারতের
সেরাম ইনস্টিটিউট। এবার তার বিরুদ্ধে
আইনি পদক্ষেপ নেয়া যায় কি
না, সেটি ভেবে দেখতে
বলেছে সংসদীয় কমিটি। রোববার (৯ মে) সংসদ
ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে চুক্তি
অনুযায়ী টিকা না আসার
বিষয়ে আলোচনার পর কমিটির পক্ষ
থেকে এ সুপারিশ করা
হয়।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে বাংলাদেশ
গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান
শুরু করলেও দুই চালানের (৮০
লাখ) পর আর টিকা
দেয়নি সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে সরকার টিকার
প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ
রেখেছে। যে টিকা এখন
মজুদ আছে, তা দিয়ে
দ্বিতীয় ডোজও সবার দেয়া
সম্ভব হবে না।
এ
অবস্থায় সেরাম কেন টিকা দেয়া
বন্ধ করল তা নিয়ে
প্রশ্ন উঠেছে। বৈঠক শেষে সংসদীয়
কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান গণমাধ্যমকে বলেন,
‘গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংসদীয় কমিটি বলেছিল, একাধিক সোর্স থেকে টিকা আনার
ব্যবস্থা করতে হবে। তখন
একটা সোর্স থেকে নিলেন কেন?
এটা আমরা জিজ্ঞেস করেছি।
মন্ত্রণালয় আমাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে- এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
বিষয়। তবে তারা এখন
একের অধিক সোর্স থেকে
টিকা আনার চেষ্টা করছে।
ভারত থেকেও আশা করছে জুলাইয়ে
পাবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পাওয়ার
চেষ্টা করছে। রাশিয়া ও চায়না থেকে
আনার চেষ্টা তো করছেই।’
তিনি
আরও বলেন, ‘আমরা টিকার দ্বিতীয়
ডোজ শেষ করার জন্য
ভারতের যে টিকা যুক্তরাষ্ট্রের
কাছে অতিরিক্ত আছে, সেটা আনা
যায় কি না, সেই
উদ্যোগ দ্রুততার সঙ্গে নিতে বলেছি। বলেছি,
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট যে আমাদের দিলো
না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেবেন কি না, সে
ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে বলেছি।’
ভারতের
ভাইরাসের ধরন বাংলাদেশে পাওয়ার
প্রসঙ্গ টেনে কমিটির সভাপতি
ফারুক খান বলেন, ‘আমরা
ভারতের সঙ্গে লকডাউন আরও শক্তিশালী করতে
বলেছি। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সঙ্গে কথা বলে বিজিবিকে
আরও শক্তিশালী টহল দেয়ার ব্যবস্থা
নিতে বলেছি।’
আরিয়ান/এম. জামান