• ঢাকা শুক্রবার
    ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

দুর্ভোগ ভোগান্তিতে অদম্য ঈদযাত্রা

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২১, ০৪:১৬ পিএম

দুর্ভোগ ভোগান্তিতে অদম্য ঈদযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত নাগরিক জীবনে ঈদ বয়ে এনেছে নতুন ভোগান্তি। লকডাউন স্বাস্থ্যবিধির কারণে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে সরকার, কিন্তু স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার চিরায়ত প্রথা ঠিক রাখতে মরিয়া হয়ে সবাই বাড়িমুখো। গাড়ি না থাকায় পায়ে হেঁটে, অধিক ভাড়ায় বিকল্প গাড়িতে মানুষ ছুটছে নাড়ির টানে।

স্বাভাবিক সময়েই ঈদযাত্রায় মানুষের নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। এবার দূরপাল্লার গাড়ি, ফেরি, লঞ্চ ট্রেন চলাচল না করায় সে ভোগান্তি বেড়েছে বহুগুণে। সব কিছু উপেক্ষা করে রাজধানী থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করে কয়েকদিন আগে। গত শুক্রবার ফেরি লঞ্চে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীর ছবি ছড়িয়ে পড়ে অনলাইন মিডিয়ায়। আবারও করোনার ভয়াবহ বিস্তারের আশঙ্কায় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। তার পর থেকেই সরকার কঠোর অবস্থানে গিয়ে শনিবার থেকে ফেরি নিয়ন্ত্রণ যাত্রী চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। দিন ফেরিঘাটে বিজিবি মোতায়েন করে অ্যাম্বুলেন্স জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া যাত্রীসহ অন্য গাড়ি পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী মহামারির সময়ে জনগণকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান। কাজ হারানো প্রায় ১৫ লাখ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করেছেন তিনি। আজ রোববার ( মে) পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পের অধিবাসী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্লট বরাদ্দকালে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদটি সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে করুন। ঝুঁকি নিয়ে, অনেক মানুষের সঙ্গে গাদাগাদি করে বাড়ি গিয়ে নিজের বাবা-মা, ভাই-বোনদের সংক্রমিত করবেন না। নিজের এবং পরিবারের ভালোর জন্য সবার উচিত হবে, যে যেখানে আছেন তিনি সেখানেই ঈদ করুন।

এদিকে লম্বা সময় ধরে লকডাউনে আটকে থাকা দূরপাল্লার পরিবহন শ্রমিকরা পড়েছেন বেকায়দায়। গত মে থেকে লকডাউন শিথিল রেখে মহানগর জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন পরিচালনার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। কিন্তু দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মালিক শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অথচ বাস-মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গাদাগাদি করে মানুষ যাতায়াত করছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণ এবং পণ্য পরিবহন চালুর জন্য শ্রমিক-মালিকরা দাবি করে আসছেন।

অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ঈদের নামাজ শেষে সারা দেশের মালিক শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকায় বাস ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ঈদের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।

বকর/ এম. জামান

আর্কাইভ