প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, ১২:৩৩ পিএম
দেনা পরিশোধ না করে নিজেকে দেউলিয়া
ঘোষণার পরিকল্পনা করছিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
(সিইও) মো. রাসেল। এমনটাই জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের
পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
শুক্রবার (১৭
সেপ্টেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার রাসেল ও তার স্ত্রীর
ব্যবসায়িক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরাতন গ্রাহক ও
সরবরাহকারীর দায়ের (লায়াবেলিটিস) অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। অর্থাৎ ‘সায়
ট্রান্সফার’-এর মাধ্যমে দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিল ইভ্যালি।
প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হতো, দায়
(লায়াবেলিটিস) তত বাড়ত। গ্রেফতার রাসেল জেনেশুনে এ নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ
করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।’
খন্দকার আল মঈন
বলেন, ‘ব্যবসায়িক বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা তৈরি হয় এ
ধরনের পণ্যকে বেছে নেয় ইভ্যালি। যেমন-মোবাইল, টিভি, ফ্রিজ,
এসি,
মোটরবাইক,
গাড়ি,
গৃহস্থলিপণ্য,
প্রসাধনী,
প্যাকেজ
ট্যুর, হোটেল বুকিং, জুয়েলারি, স্বাস্থ্যসেবা
সামগ্রী ও ফার্নিচার ইত্যাদি। এসব পণ্যের মূল্য ছাড়ের ফলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়।
ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানের বিশাল অফারে দায় (লায়াবেলিটিস) তৈরি হয়।’
তিনি আরও বলেন,
রাসেল
ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এর আগে
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা
নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। পরে বিকেল সাড়ে
৪টায় মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ওই মামলায় রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক
গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর- ১৯।
মামলার এজাহারে
বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে
ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের
মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা (ইভ্যালি) দেয়নি। ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে
সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার
করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাকের।
এস/এএমকে