• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

রাসেলের বাসার সামনে গ্রাহকদের ভিড়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০৬:৪৮ পিএম

রাসেলের বাসার সামনে গ্রাহকদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের বাসায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে তার মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ সংস্থাটি।

এ দিকে অভিযানের খবর পেয়ে গ্রাহকেরা রাসেলের বাসার সামনে ভিড় করেছে। তারা রাসেলের গ্রেফতার চায় না। কেননা এতে করে পাওনা আদায়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে তাদের আশঙ্কা।

রাসেলের বাসার সামনে উপস্থিত ইরফান কবীর নামে এক যুবক জানান, তিনি ৯ মাস আগে একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিতে বুকিং দিয়েছিলেন। মোটরসাইকেলের জন্য তিনি ৯৮ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। ৯ মাস পর তিনি মোটরসাইকেল পাননি।

এর আগে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক।

এজাহারের বরাত দিয়ে গুলশান থানার পুলিশ জানায়, ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে গ্রাহক আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা ওই প্রতিষ্ঠানে কিছু পণ্যের অর্ডার দেন। এরপর গত ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় পণ্যের মূল্য বাবদ ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং ও একটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন আরেফ বাকের। অর্ডার করা পণ্য ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের দেবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ ৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করে পণ্য পেতে ব্যর্থ হন। এর আগে যতবার যোগাযোগ করা হয়, ততবারই দেবো-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে তারা।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব চেয়েছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠান, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে বিএফআইইউ নাসরিন ও রাসেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়।

শামীম/এম. জামান

আর্কাইভ