নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্রিসের এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মুজিববর্ষে ই-পাসপোর্ট সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং বাংলাদেশ ভ্রমণেচ্ছু বিদেশি নাগরিকদের মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) দিয়েছে। বর্তমানে ৭৩টি বিদেশি মিশনে এমআরপি ও এমআরভি সেবা চালু রয়েছে। প্রবর্তনের পর অদ্যাবধি তিন কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার এমআরপি ইস্যু করা হয় এবং ১৬ লাখ ১৯ হাজার এমআরভি ইস্যু করা হয়।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এমআরপি ও এমআরভির প্রবর্তন করে সরকার এই সেবার আধুনিকায়ন বন্ধ করেনি। গত বছরের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দশ লক্ষ ৬২ হাজার ই পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম বৈদেশিক মিশন হিসেবে জার্মানির বার্লিনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এমনকি উন্নত দেশগুলির স্বল্পসংখ্যক দেশে স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।'
এথেন্স থেকে দূরে বসবাসকারী প্রবাসীরা যেন সহজে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারে সেজন্য ই-পাসপোর্ট আবেদনের যন্ত্রপাতি সহ একটি মোবাইল ইউনিট মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নিকট হস্তান্তর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, জার্মানির ভেরিদোস কোম্পানির চিফ অপারেশন অফিসার ম্যাক জুলিয়ান সিওয়ার্ট। উদ্বোধন শেষে মাননীয় মন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
জেডআই/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন