• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

৩০ সেপ্টেম্বর কার্টুনিস্ট কিশোরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ০৪:৪৯ পিএম

৩০ সেপ্টেম্বর কার্টুনিস্ট কিশোরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর দিদারুল ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন আদালত। সময় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটির চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন। তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরের আইনজীবী জায়েদুর রহমান।

১৩ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ।

মৃত্যুবরণ করায় চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহম্মেদকে। ছাড়া অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এজাহারভুক্ত আরও তিন আসামিকে। এরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ফিলিপ শুমাখার নামে অজ্ঞাত ফেসবুক আইডির মালিক।

অভিযোগপত্রে নাম আসা অপর আসামিরা হলেন- আল-জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান স্বপন ওয়াহিদ।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলায় প্রথমবার চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সরদার। চার্জশিটে তখন তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। বাকি আট আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

এরপর গত ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত বছরের মে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন ্যাব- এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরাআই অ্যাম বাংলাদেশিনামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।

ইফাত/এম. জামান

আর্কাইভ