দেশজুড়ে ডেস্ক
আর কয়েক দিন পরেই ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি ঘাটে ভিড় বেড়েছে। ছুটির দিন হওয়াতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড চাপ। যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৭ মে) সকাল থেকেই নদী পার হওয়া প্রতিটি ফেরিতেই রয়েছে যাত্রীদের উপচে পরা ভিড়।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-বড় পরিবহনে ঘরমুখো যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে এসে ভিড় করছেন। এতে ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে সীমিত সময়ের মধ্যেই ঘাটে অবস্থানরত সকল ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার করা হবে।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরিতে করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এমনকি মাস্ক ছাড়াও নদী পার হচ্ছে মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে ঘাট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার উপমহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, 'জরুরি যানবাহন পারাপারে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। আর এই সুযোগে শত শত মানুষ ফেরি দিয়ে নদী পার হচ্ছেন।'
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, 'গতকাল থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। আজকে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বেশি। বতর্মানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে ৫-৭টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট-বড় গাড়ি মিলে তিন শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।'
ঢাকা থেকে নিজ গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন রফিক। তিনি সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, 'ঢাকা থেকে ভেঙে ভেঙে ঘাট পর্যন্ত এসেছি। ফেরিতে গাদাগাদি করেই পারাপার হতে হচ্ছে। এখানে স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানা হচ্ছে না।'
এএএম/এএমকে
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন