প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০৯:০৪ পিএম
রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকার
অভিযোগে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক শিবির
সভাপতি ইয়াসিন আরাফাতসহ ৯ শীর্ষ নেতাকে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার
(৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর ঢাকার বসুন্ধরা
আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে
তাদের আটক করা হয়
বলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মো.
আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের
ষড়যন্ত্র এবং দেশকে অস্থিতিশীল
করতে তারা গোপন বৈঠকে
মিলিত হয়েছিলেন বলে জানান উপকমিশনার
মো. আসাদুজ্জামান। এমন খবর পেয়ে
সেখানে অভিযান চালানো হয় বলেও জানান
তিনি।
সোমবার রাত
পৌনে ৮টার দিকেও সেখানে
অভিযান চলছিল বলে ভাটারা থানার
পরিদর্শক রফিকুল হক জানিয়েছেন।
এ
দিকে, দলের সেক্রেটারি জেনারেল
ও সহকারী সেক্রটারিসহ নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে
বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সোমবার রাতে দলটির পক্ষ
থেকে এই বিবৃতি দেওয়া
হয়। এতে অবিলম্বে নেতাকর্মীদের
মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে
বলা হয়, জামায়াতের নিয়মিত
কাজের অংশ হিসেবে ৬
সেপ্টেম্বর বিকেলে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের
সভাপতিত্বে এক বৈঠকের আয়োজন
করা হয়। বৈঠক থেকে
সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের ৭ জন কেন্দ্রীয়
নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার
করে।
বিবৃতিতে
আরও বলা হয়, দেশে
এখন এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি
চলছে। সরকার দীর্ঘ এক যুগ ধরে
জনগণের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কোনো
দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না।
সরকারের সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের
শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো
হয়েছে। অনেককে গুম করা হয়েছে
এবং পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।
শত জুলুম বুকে ধারণ করে
জামায়াত নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক
কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ
করে করোনাভাইরাসের ১৮ মাসে জামায়াত
জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা
দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এমআর/এম. জামান