প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০৯:৫৮ পিএম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি)
মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
পরিকল্পনা এবং পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই করে উন্নয়ন প্রকল্প
গ্রহণ করতে এলজিইডিসহ স্থানীয়
সরকার বিভাগের অধীন সকল প্রতিষ্ঠানের
প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে
এলজিইডি ভবনে স্থানীয় সরকার
বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার
কৌশল বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন
তিনি।
স্থানীয়
সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প নিয়ে অবকাঠামোসহ যেকোনো
উন্নয়ন কাজ করলে যেমন
তা টেকসই হয় না তেমনি
উন্নয়নের সুফল মানুষের নিকট
পৌঁছানো যায় না। বরং
সুফলের চেয়ে কুফল বয়ে আসে।
তাই সকল উন্নয়ন প্রকল্প
নেওয়ার আগে তার ফিজিবিলিটি
স্টাডি করে গ্রহণ করতে
হবে।’
প্রকল্প
গ্রহণের পূর্বে ফিজিবিলিটি স্টাডির গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী
বলেন, ‘ইনভায়রনমেন্টাল, জিওলজিক্যাল, হাইড্রোলোজিক্যাল, সোস্যাল ইমপ্যাক্ট, ডেমোগ্রাফিক সাইজ এবং ইকোনমিক
আউটপুট বিবেচনায় নিয়ে প্রকল্প নিতে হবে। এসব
বিষয়ে স্টাডি না করে প্রকল্প
নেয়া যাবে না। নিলে
সুফল মিলবে না।’
এ
প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম
বলেন, ‘গৃহীত প্রকল্পসমূহ যদি উৎপাদনশীল, ইনকাম
জেনারেটিং, টেকসই এবং সময়মত শেষ
না হয় তাহলে কাঙ্ক্ষিত
লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব হবে। যে উদ্দেশ্য
নিয়ে প্রকল্প নেওয়া হয়, বাস্তবায়ন করার
পর দেখা যায় তার
সুফল মিলছে না। প্রকল্পের ডিজাইনে
কোনো ত্রুটি রাখা যাবে না
উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো
বলেন, ‘গ্রামীণ, ইউনিয়ন ও উপজেলা রাস্তার
ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নেভিগেশন
সুযোগ রেখে ব্রিজ নির্মাণ
করে নৌপথগুলো চালু করার ব্যবস্থা
করা হচ্ছে।’ কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ
করে তিনি জানান, নিম্নমানের
কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে অবশ্যই
শাস্তি পেতে হবে।
এলজিইডির
সমস্ত রাস্তা আইডিভুক্ত করার পর নির্মাণকাজ
করা হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রাস্তা আইডিভুক্ত করা নেই। এজন্য
এসব প্রতিষ্ঠানের সকল রাস্তা আইডিভুক্ত
করার জন্য নির্দেশনা প্রদান
করা হয়েছে। আইডি নম্বর অনুযায়ী
যদি রাস্তার বরাদ্দ প্রদান করা হয় তাহলে
সুষ্ঠুভাবে রাস্তা নির্মাণ এবং সংস্কারকাজ সম্পন্ন
হবে।’
এ ক্ষেত্রে এক রাস্তায় দুই
প্রতিষ্ঠান অথবা দুবার-তিনবার
কাজ করার কোনো সুযোগ
থাকবে না বলেও মন্তব্য
করেন।
মো.
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে সরকার আমার
গ্রাম আমার শহর দর্শন
বাস্তবায়ন করছে। এই দর্শন বাস্তবায়নে
জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণি-পেশার
মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আর
এই কাজ করলে ২০৪১
সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ
জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলা গড়ে উঠবে।’
স্থানীয়
সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এতে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল
ইসলাম এবং পরিকল্পনা বিভাগের
সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী। এছাড়া এলজিইডি, ডিপিএইচই, সকল সিটি করপোরেশন
ও ওয়াসাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান
ও প্রতিনিধি এবং চলমান প্রকল্পসমূহের
প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শামীম/এম. জামান