বাগেরহাট প্রতিনিধি
আগুন লাগার ৫২ ঘণ্টা পরও জ্বলছে সুন্দরবন শরণখোলা রেঞ্জের বনভূমি। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আগুন লাগার ৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণের দাবি করে বন বিভাগ। এরপর সেখান থেকে চলে যায় তারা। কিন্তু বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে ফের ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।
এ দিকে ফের আগুনের খবর শুনে বুধবার সকালে তা নেভাতে আসে বন বিভাগ ও শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস। পরে মোড়েলগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে সিটি নিউজ ঢাকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরণখোলা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। তবে আগুন সেভাবে ছিল না। দুপুরের দিকে হঠাৎ হঠাৎ বিভিন্ন স্থানে আবারও আগুন জ্বলে উঠেছে। আগুনের খবর শুনে বন বিভাগ ও শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। পরে বাগেরহাট ও মোড়েলগঞ্জ থেকে আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়।’
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তৃতীয় দিনেও বিক্ষিপ্তভাবে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটসহ বন বিভাগ ও সুন্দরবন সুরক্ষায় ভিটিআরসি টিমের সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারনী এলাকায় আগুন লাগে। লোকালয় থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গহিন বনে হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিল না পানির কোনো উৎস। তবে দুই দফায় বৃষ্টিতে আগুন কম ছড়ায়। আগুন লাগার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানায় বন বিভাগ।
বন বিভাগের তথ্য মতে, গত ১৫ বছরে সুন্দরবনে আগুন লেগেছে ২৮ বার। এতে পুড়ে গেছে প্রায় ৮০ একর বনভূমি। ২০১৭ সালের ২৬ মে পূর্ব সুন্দরবনে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ফরেস্ট ক্যাম্পের আওতাধীন আবদুল্লাহর ছিলায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই আগুনে প্রায় পাঁচ একর বনভূমি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এএএম/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন