সিলেট ব্যুরো
সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদকে হত্যার ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) বেলা ১১টায় পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার কাছে সিলেটের আলোচিত এই হত্যা মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই। প্রশিকিউশন শাখা তা ভার্চুয়াল আদালতে উপস্থাপন করবে।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেকে এলাহি, হাসান উদ্দিন, পুলিশের কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস এবং কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান। নোমানের বিরুদ্ধে এসআই আকবরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা ও রায়হানকে নির্যাতনের আলামত ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান।
তিনি জানান, অভিযোগপত্রভুক্ত ছয়জনের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যই কারাগারে আছেন আর নোমান পলাতক রয়েছেন। এই ঘটনায় তৌহিদ মিয়া নামে আরেক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হলেও সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অভিযোগপত্রে তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি।
নগরের আখালিয়া নিহারিপাড়ার বাসিন্দা রায়হানকে গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কাস্টঘর সুইপার কলোনি থেকে তাকে ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যান ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ও তার সহকারীরা। এরপর কয়েক ঘণ্টা চলে পাশবিক নির্যাতন। পরদিন ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যু হয়। সেদিন রাতেই পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। রায়হান হত্যার বিচারের দাবিতে সিলেটজুড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়।
ডব্লিউ এস/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন