নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, গত সংসদ নির্বাচনে যেভাবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে সিএমএইচে অসুস্থ বলে ভর্তি করা হয়েছিল। আমার বিষয়েও সে ধরনের একটা ষড়যন্ত্র চলছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশবাসীকে জানাচ্ছি, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমি সঙ্গে সঙ্গেই আত্মহত্যা করব।’
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের তার স্ত্রীর (অ্যাড. ইশরাতুন্নেছা কাদের) প্ররোচনায় এটা করছেন। আমি কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করব না। মেরে ফেলবেন, জেলে দেবেন, লাঞ্ছিত করবেন, আর কী বাকি আছে?’
তিনি বলেন, ‘এখনও এখানে (বসুরহাট) পুলিশি তাণ্ডব চলছে। আমার চতুর্দিকে ঘেরাও করে রেখেছে।’
কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, ওবায়দুল কাদেরের লেলিয়ে দেয়া ফেনীর নিজাম হাজারী, নোয়াখালীর একরাম চৌধুরী, বাদলের নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জের সব জাসদ এক হয়ে আমার পৌরসভায় দুই হাজার গুলি চালিয়েছে। পুলিশ অ্যাসল্ট ও হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলা করেছে। এসব মামলা আমি ও আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া আমার একমাত্র ছেলেকেও (তাশিক মির্জা) হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ গিয়ে তদন্তের নামে আমার নিরীহ কর্মীদের পরিবার-পরিজনের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরাই আমার সঙ্গে আছে। আর এদেরই মিথ্যা মামলায় পুলিশ হয়রানি করছে। এটা কি একটা সভ্য দেশ, কোথায় মানবাধিকার, দেশে কি মানবাধিকার সংস্থা নেই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা হচ্ছে ওবায়দুল কাদেরের আইওয়াশ মাত্র। এক দেশে দুই আইন। ওদের লোকদের জামিন হয়, আমার লোকদের জামিন হয় না। আমার লোকেরা ঢাকায় উচ্চ আদালতে ও নোয়াখালীর আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়ায়। বিচার করার কেউ নেই। অপরাজনীতি ও অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তারাই আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ে নেতৃত্বে আছে।’
এএম/ এম. জামান/২৩ মার্চ
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন