ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
মেঘনা নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে জায়গা দখল করে নির্মিত হচ্ছে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন। যার কোনো অনুমোদন নেই। একইভাবে ওই এলাকায় অনুমোদন না নিয়েই জেটি নির্মাণ করছে খাদ্য অধিদফতর। এতে বর্ষা মৌসুমে নৌচলাচল বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় নদীতে জেটি নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ)।
সরেজমিনে আশুগঞ্জ নৌবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেটি নির্মাণের জন্যে মেঘনার বুকে সারিবদ্ধভাবে গাঁথা হয়েছে মোটা আকারের লোহার খুঁটি। এর জন্য নদীসংশ্লিষ্ট কোনো দফতরের অনুমতি নেয়নি খাদ্য বিভাগ। তাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিওটিএ।
বিআইডব্লিউটিএ'র আশুগঞ্জ-ভৈরব নৌবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্লাহ জানান, জেটি নির্মাণে খাদ্য বিভাগ এখনো কোনো অনুমোদন নেয়নি। তারা জেটি নির্মাণ করতে চাইলে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। এ কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে নদীর বুকে স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্যে তাদের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে।
আশুগঞ্জ নবনির্মিত আধুনিক সাইলোর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বিমল ভূঁইয়া বলেন, বিআইডব্লিটিএ’র সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। নতুন করে নকশা করা হচ্ছে। বিআইডব্লিটিএ নদীতে একটি জেটি নির্মাণ করবে। আমরা অনুরূপ একটি জেটি নির্মাণ করব। আপাতত কাজ বন্ধ আছে। জেটি নির্মাণ করার জন্য তাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, 'অনুমতি ছাড়া নদীর জায়গায় স্থাপনা করার কোনো সুযোগ নেই। জেটি নির্মাণের বিষয়টি আমাদের নজরে এখনো আসেনি। যেহেতু নদীতে হাত পড়েছে অবশ্যই আমরা এ ব্যাপারে তদন্ত করব।'
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, নদীতে কাজ করতে হলে নদীর প্রবাহ যেন বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নদী রক্ষার স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নদী দখলের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা।
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন