
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৫, ১১:০১ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠে গেল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ফাইনাল ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে খেলবে ভারত। টুর্নামেন্টের অতীতের আট আসরের মধ্যে ভারত দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়।
২০১৩ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। ২০০২ সালে শ্রীলংকার সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তবে ২০০০ ও ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে হেরে যায় ভারত।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় আসরে ২০০০ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে কিউইরা।
বুধবার পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে কিউইরা।
প্রথমে ব্যাট করে রাচিন রচিন্দ্র (১০৮) ও কেন উইলিয়ামসনের (১০১) জোড়া সেঞ্চুরি আর ড্যারেল মিচেল (৪৯) এবং গ্লেন ফিলিপসের (৪৯) ব্যাটিং তাণ্ডবে ৩৬০ রানের রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটাই দলীয় সর্বোচ্চ রানের স্কোর।
রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে ২ উইকেটে ১৬১ রান করে ভালো পজিশনেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় প্রোটিয়ারা।
জয়ের জন্য শেষ দিকে মাত্র ১৮ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৯৯ রান। হাতে ছিল মাত্র এক উইকেট। ব্যাটিংয়ের এক প্রান্তে ছিলেন ডেভিড মিলার আর অন্য প্রান্তে ছিলেন পেস বোলার লুঙ্গি এনগিডি।
ইনিংসের শেষ দিকে মিলার রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে একের পর এক বাউন্ডারিতে ৬৭ বলে ১০টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তার ব্যাটিং ঝড়ে ব্যবধান কমালেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি। মিলার তিনি ৬৭ বলে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন। ৬৬ বলে ৬৯ রান করেন রিশি ভেন দার ডুসেন। ৭১ বলে ৫৬ রান করেন টিম্বা বাভুমা।
৫০ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড।