• ঢাকা শুক্রবার
    ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

থুতনিতে মাস্ক, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২১, ০৩:৫৫ পিএম

থুতনিতে মাস্ক, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর নির্দেশ থাকলেও বেশিরভাগ বাসচালক হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায় না। অনেকের মাস্ক থুতনির নিচেই থেকে যাচ্ছে। আর হরেক রকম অজুহাতে বেশিরভাগ চালক কন্ডাক্টর মুখ ঢাকছেন না মাস্ক দিয়ে।

টানা ১৯ দিন কঠোর বিধিনিষেধ শেষে ১১ আগস্ট ভোর থেকে চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। তখন অর্ধেক যানবাহন চালু হলেও গত ১৯ আগস্ট থেকে সড়কে শতভাগ গণপরিবহন চলাচল শুরু করেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাসে যাত্রী পরিবহন করতে হলে মানতে হবে সরকারের বেঁধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি। এক্ষেত্রে চালক, হেলপার যাত্রী সবার জন্যই মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবহন-সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা থাকলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জাতীয় কোনো স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।

গুলশান-বাড্ডা-লিংক রোডে দাঁড়িয়ে প্রায় ২০টি বাসের চালক-হেলপারদের পর্যবেক্ষণ করে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তারা কেউই সঠিকভাবে মাস্ক পরছেন না। কেউ কেউ পরলেও মাস্ক তাদের থুতনিতে স্থান পেয়েছে।

রামপুরা ব্রিজ এলাকায় কথা হয় রাইদা বাসের হেলপার মাসুদ মিয়ার সঙ্গে। মাস্ক কেন নেইজানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরাই ছিলাম। খুব গরম, তাই একটু খুলে রেখেছি। ভাড়া তুলতে গেলে ঠিকই মাস্ক পরি। এই পেশায় কাজ করলে সব সময় মাস্ক পরে থাকা যায় না।

বিআরটিসি পরিবহনের কন্ডাক্টর মো. আরিফ হোসেন থুতনির নিচে নামিয়ে রেখেছিলেন মাস্ক। কেন মাস্ক ঠিকভাবে পড়েননিজানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এতক্ষণ মাস্ক পড়েছিলাম। মাত্র একটু নাক থেকে নামিয়েছি। শ্বাস নিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল তাই।

রাজধানীর মালিবাগ এলাকার প্রধান সড়কে কথা হয় তুরাগ বাসচালক রফিকুলের সঙ্গে। তিনিও একই উত্তর দিলেন।

সময় পকেট থেকে মাস্ক বের করতে করতে আরেক চালক মন্টু মিয়া বলেন, ‘এইদিকে তো বেশি যাত্রী আসে না। তাই মাস্ক খুলেই বাস চালাচ্ছি। প্রায় সময় পরে থাকলেও এখন খুলে রেখেছি।

একই বাসের যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এই বাসের হেলপার আমাদের কাছে ভাড়া তুলতে এসেছে মাস্ক ছাড়া। বলার পর সে পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরেছে। এভাবে সব বাসেই চালক-হেলপারেরা ঠিকমতো মাস্ক পরে না।

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী গণপরিবহনে যেসব শর্ত মানতে হবে :

আগের ভাড়ায় (৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না) গণপরিবহন চলবে। ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না। গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার বা কনডাক্টর, হেলপার-কাম ক্লিনার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রার শুরু শেষে যানবাহন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ছাড়া, যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে যানবাহনের মালিকদের।

জেডআই/সবুজ/এএমকে

আর্কাইভ