• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

বনানী অগ্নিকাণ্ডের আদ্যোপান্ত

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২১, ০৬:৩০ পিএম

বনানী অগ্নিকাণ্ডের আদ্যোপান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিট। রাজধানীর বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের তিনতলায় (এমিকনের গোডাউন) ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আগুন নিয়ন্ত্রণে একে একে ঘটনাস্থলে আসতে থাকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। এক এক করে ১৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ  শুরু করে।

কিন্তু ভবনের নিজস্ব কোনো ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় তাদেরকে বিপাকে পড়তে হয়। পরে পাশের একটি ভবনের পানি দিয়ে প্রথম আধা ঘণ্টা আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। তাতেও থামেনি আগুনের লেলিহান শিখা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে বিমানবাহিনী, পুলিশ ্যাব। চার ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা ১টা মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।


কর্তৃপক্ষের গাফিলতি খতিয়ে দেখবে ফায়ার সার্ভিস : ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।

শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পরে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বলেন, ‘আগুনের খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। ভবনটির দ্বিতীয় তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। এখানে এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুম কারখানা ছিল। যেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। ফলে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ‘আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়। ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানানো হয়। ঘটনায়ও তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

মানা হয়নি বিল্ডিং কোড : দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।


ডিএনসিসি মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি পুরনো বিল্ডিং। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কি না সেটা বলবে বুয়েট। বিল্ডিং কোড হয়েছে ২০০৬ সালে। তার আগে বিল্ডিং হয়েছে। সুতরাং ভবনে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। যতদূর জেনেছি, ভবনে ক্রেস্ট বানানোর গোডাউন রয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, সেটি অবশ্যই তদন্তে বের হবে।


তিনি বলেন, ‘এক বিল্ডিংয়ের সঙ্গে আরেক বিল্ডিং লাগানো, মাঝখানে কী ব্যবস্থা থাকবে, বিকল্প সিঁড়ি কতটা চওড়া করতে হবে- সবকিছু দেখে বিল্ডিং কোড মানা হলেই কেবল ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হবে। অন্যথায় ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হবে না।চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় যত ট্রেড লাইসেন্স আছে সেগুলো আপাতত নবায়ন হবে না বলেও জানিয়ে দেন মেয়র আতিক।

টিআর/এম. জামান

আর্কাইভ