প্রকাশিত: মে ৪, ২০২১, ১০:৩২ পিএম
দেশে
গত ৫৩ মাসে (২০১৭
এর জানুয়ারি-২০২১ এর মে
পর্যন্ত) ১৭৩টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এসব দুর্ঘটনায় ২৩৫ জন মারা
গেছে বলে নৌপরিবহন অধিদফতর
সূত্রে এ তথ্য জানা
গেছে।
তথ্য
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭
সালে ২৫টি নৌ দুর্ঘটনায়
মারা গেছে ৪৫ জন,
২০১৮ সালে ২১টি নৌ
দুর্ঘটনায় মারা গেছে ২
জন, ২০১৯ সালে ২৬টি
নৌ দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩
জন, ২০২০ সালে ৩২টি
নৌ দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৮১
জন।
অপরদিকে,
চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে
১৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৭
জন নিহত, ফেব্রুয়ারিতে ১৫টি নৌ দুর্ঘটনায়
২৫ জন নিহত, লকডাউনের
এপ্রিল মাসে ১৪টি দুর্ঘটনায়
৩৮ জন নিহত হয়েছে।
এ ছাড়াও মে মাসে এ
পর্যন্ত ৩টি নৌ দুর্ঘটনায়
মারা গেছে ২৭ জন।
নৌ
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সিটি নিউজকে জানান,
সব ধরনের দুর্ঘটনাই অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে আগের তুলনায়
বড় ধরনের দুর্ঘটনা কম হচ্ছে। বর্তমান
দেশে বড় ও আধুনিক
নৌযান তৈরির কারণে দুর্ঘটনা কমছে। তারপরও যে দুর্ঘটনা ঘটছে
না তা বলব না।
তবে প্রতিটি দুর্ঘটনার পরে তদন্ত কমিটি
গঠন করে প্রকৃত কারণ
উদঘাটন এবং তদন্ত কমিটির
সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি
আরও বলেন, সম্প্রতি দুটি দুর্ঘটনা দুঃখজনক।
আমরা প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা
করছি। তবে সোমবার (৩
মে) যে স্পিডবোট দুর্ঘটনা
ঘটেছে, সেটি নির্দিষ্ট কোনো
ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি।
এ ব্যাপারে কারও কোনো গাফিলতি
আছে কি না তাও
খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নৌপরিবহন
অধিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সিটি নিউজকে বলেন,
কোনো নৌ দুর্ঘটনা হলেই
আমাদের দিকে আঙুল তুলে
কিন্তু আমরা তো আর
ঘাট বা বন্দর পরিচালনা
করি না। এর দায়িত্ব
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট
শাখার। তবে তিনি মনে
করেন, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ
১৯৭৬ পরিপালন করা হলে দেশে
আরও নৌ দুর্ঘটনা কমে
যাবে।
তরিকুল/নূর/এম. জামান