নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথমে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা নেয়ার বয়স নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ বছর ঊর্ধ্বদের জন্য। তবে এখন থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও টিকা নিতে পারবেন। টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপেও আনা হয়েছে পরিবর্তন।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে সুরক্ষা অ্যাপে দেখা যাচ্ছে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টিকা নিবন্ধনের অপশন চালু করা হয়েছে। এর আগে টিকা নেয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার।
দেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। মূলত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ডের ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকার। ওই সময় টিকা নেয়ার জন্য ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা ছাড়া শুধু চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তি, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীতে কর্মরত ব্যক্তিসহ করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত সম্মুখসারির যোদ্ধারা নিবন্ধন করতে ও টিকা নিতে পারছিলেন।
গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, এখন থেকে ৩৫ বছর বয়সীরাও নিবন্ধন করতে পারবেন।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমানে চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা করোনার টিকা প্রাপ্তির জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন। এটি এখন কমিয়ে আনা হয়েছে। ৩৫ বছরের ব্যক্তিরা নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কৃষক-শ্রমিকদেরও যুক্ত করা হচ্ছে।’
এরপর, গত ১৯ জুলাই করোনার টিকা নেয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরে দেশে টিকার বেশকিছু চালান আসায় টিকা নিবন্ধনের বয়স আরও কমিয়ে আনা হয়েছে। ২৯ জুলাই থেকে বয়স পঁচিশ হলেই টিকার জন্য নিবন্ধন করা যেতো। সুরক্ষা অ্যাপে ঢুকে টিকা নিবন্ধনের বয়সসীমা ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব দেখা যায়।
জেডআই/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন