প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম
শাড়ি সঙ্গে এখন ব্লাউজ পরাটাই নিয়ম। তা সে শাড়ি যেমনই হোক না কেন, তার সঙ্গে মানানসই ও আরামদায়ক ব্লাউজ বেছে নেন নারীরা। কিন্তু এমন নিয়ম ছিল না আগে। বাংলার নারীরা শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ পরতেন না তখন।
খুব বেশি দূরে যেতে হবে না, মাত্র ৭০-৮০ বছর পিছিয়ে গেলেই দেখা যাবে, তখনও সেভাবে পরিচিতই হয়নি ব্লাউজ পরা। বাড়িতে তো বটেই বাড়ির বাইরেও সেভাবে ব্লাউজ পরতেন না বাঙালি নারীরা। তাহলে এই রীতি এল কোথা থেকে?
এর নেপথ্যে নানা ধরনের ঐতিহাসিক তত্ত্ব আছে। রয়েছে মতভেদও। তার সঙ্গে আবার যোগ আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারেরও। জেনে নেয়া যাক, কী বলছেন ঐতিহাসিকরা। কোথা থেকে এল এই ব্লাউজের ফ্যাশন?
অনেকে বলেন, ইংরেজরা যখন ভারত শাসন করেছে, তখন রানি ভিক্টোরিয়া প্রথম শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ ব্যবহার করেন। তা থেকেই এখানকার মানুষের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত সমাজের উপর তলার মানুষের মধ্যে প্রথমে ছড়ায়। তার পরে তা সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
তবে সেই সময়ে বড় হাতার ব্লাউজই নাকি ছিল ফ্যাশন। পরে তা বিভিন্ন ধরনের হাতায় পরিবর্তিত হয়। সেখান থেকেই জন্ম নেয় নানা ধরনের ফ্যাশনের ব্লাউজ। এমনটাই মত অনেকের। তবে আরও একটি মত আছে।
অনেকের মতে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজো ভাই সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী স্বামীর সঙ্গে গুজরাটে গিয়ে পার্সি নারীদের শাড়ি পরার ধরন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুনভাবে শাড়ি পরা শুরু করেন। তিনি শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ ও স্কার্ট পরতেন। তা থেকেই নাকি ব্লাউজ পরার রীতি এখানে আসে।
কেউ কেউ আবার বলেন এর সঙ্গে জ্ঞানদানন্দিনীর সম্পর্ক থাকলেও বিষয়টি একটু আলাদা। জ্ঞানদানন্দিনীদেবীকে শাড়ির নিচে ব্লাউজ না থাকার কারণে নাকি ব্রিটিশ রাজের আমলে ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেখান থেকেই নাকি তিনি ব্লাউজ পরার সিদ্ধান্ত নেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/