প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৩, ০২:৪৫ এএম
অনেকেই পাসপোর্ট করেছেন, তবে সেখানে ভুল রয়েছে। এমন হলে ভুল পাসপোর্টটি সংশোধন করতে দিতে হবে। এ জন্য ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আপনাকে পুনরায় নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করতে হবে।
আর আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে রেগুলার পাসপোর্টের মতোই সময় লাগবে। নিয়মিত ১৫ থেকে ২১ দিন, জরুরি ৫ থেকে ৭ দিন এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ কর্ম দিবসের মধ্যে দেয়া হয়।
ভুল পাসপোর্ট কীভাবে সংশোধন করবেন?
আপনার পাসপোর্টে ভুল তথ্য আসলে সে ভুল তথ্য দেয়া পাসপোর্ট দেখিয়ে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করতে হবে। ভুল সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট https://www.epassport.gov.bd ঠিকানায় পাসপোর্ট রিনিউ করার সুযোগ রয়েছে। ভুল তথ্যের পাসপোর্টটি তৈরি করতে আপনাকে যতগুলো ধাপ পার হতে হয়েছে, এখন পাসপোর্ট সংশোধনীর জন্যও ঠিক ততগুলোই ধাপ আপনাকে পার হতে হবে।
এ ছাড়া পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আপনার মোট যে কয়টি ডকুমেন্ট লাগতে পারে সেগুলো হলো–
১। আপনার তথ্য যাচাইয়ের জন্য লাগবে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) কপি।
২। পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য পাসপোর্ট অফিসে একটি লিখিত আবেদন।
৩। একটি অঙ্গীকারনামা। এই প্রক্রিয়া আপনি পাসপোর্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইট অথবা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সরাসরি করতে পারেন।
৪। পুরাতন পাসপোর্টের কপি।
৫। বিদেশে দূতাবাসে আবেদন করা হলে– পার্মানেন্ট রেসিডেন্স কার্ড/ জব আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি।
৬। নাগরিক কপি, পেশা প্রমাণের কপি, বৈবাহিক অবস্থার কপি, রি ইস্যু ফরম এবং পেমেন্ট স্লিপ।
এসব কপির মাধ্যমে আপনার পাসপোর্টের ভুল সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। আপনার আবেদনের পর পাসপোর্ট অফিস প্রদত্ত তথ্য যাচাই করবে। মূলত নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা ও ঠিকানার নাম পাসপোর্টে সংশোধন করতে হলে তথ্য পরিবর্তন অনুযায়ী ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়।
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আলাদা কোনো ফি নির্ধারণ করা হয়নি। যেহেতু ভুল সংশোধনের জন্য আপনাকে নতুন করে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হচ্ছে, তাই এটি নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে যত টাকার প্রয়োজন হয় সে টাকাই আপনাকে জমা দিতে হবে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/