প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম
চলচ্চিত্রে এখন প্রায়ই ‘আইটেম সং’ দেখা যায়। এসব গানে অভিনেত্রী স্বল্প পোশাকে প্রলুব্ধ করার ভঙ্গিতে নাচেন। আইটেম গান নারীকে ‘বস্তু’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। একই সঙ্গে এটি নারীর যৌনতা ও আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ্য ঘোষণা, যদিও তার নির্মাতা পুরুষ। ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রায় সব আইটেম গানে অভিনেত্রীর কোমর ঝাঁকুনি ও দোলানোসহ প্রলোভন ভরা নাচের সঙ্গে তার নাভি দৃশ্যমান রাখা হয়। এর প্রচুর ক্লোজ-আপ থাকায় দর্শকের মনোযোগ আরও আকর্ষিত হয়।
শিশুর জন্মের পর যখন মায়ের গর্ভের সঙ্গে যুক্তকারী কর্ডটি কেটে ফেলা হয়, ওই কর্ডের গোড়াটি শেষ পর্যন্ত শুকিয়ে যায় ও বাইরের দিকে কিংবা ভেতরের দিকে কিছুটা উঁচু বা গভীর হয়ে নাভি পূর্ণতা পায়।
প/র্ন ওয়েবসাইটে ‘ভারতীয় নাভি’ সার্চ করলে অভিনেত্রীদের ছোট ছোট ক্লিপ বা তাদের নাভি দেখা যায় এমন দৃশ্যগুলোতে নিয়ে যাবে৷ ‘ন্যাভাল কুইন’ শব্দটি তামান্না ভাটিয়া, ক্যাটরিনা কাইফ, কৃতি শ্যানন, সামান্থা রুথ প্রভু ও তেজস্বী প্রকাশসহ বেশ কয়েকজন ভারতীয় অভিনেত্রীর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
মুম্বাইয়ের ৩৫ বছর বয়সী প্রকৌশলী ভারুন টিনএজ বয়স থেকেই নাভির প্রতি আকৃষ্ট।
তিনি বলেন, ‘সিনেমা হোক বা বিজ্ঞাপন, নাভির দৃশ্য সব জায়গায় দেখতাম। কিছু ইরোটিক গানে শ্রোতাদের আকৃষ্ট করতে নাভির দৃশ্য যুক্ত করা হতো। নাভি নারী দেহের এমন একটা অংশ ছিল, যার সঙ্গে বাস্তব জগতে আমার পরিচয় ঘটে। দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায় নাভির দৃশ্য আমি অনেক পরে দেখেছি। আমি ৯০-এর দশকে বলিউড ফিল্ম দেখে বড় হয়েছি, যেখানে নাভির দৃশ্য দেখানো হয়েছে।’
নাভির প্রতি এমন আকর্ষণকে ভারতীয় সিনেমার অনন্য বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ করেছেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক কিরুবাখার পুরুষোত্তম।
তিনি বলেন, ‘হলিউডে এমন কিছু পাবেন না। একই সঙ্গে যেসব ভারতীয় সিনেমায় নাভি প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলোতে চুমু খাওয়া বা যৌ/নতার দৃশ্যও নেই।’
শুরুতে উল্লেখ করা ডিম ভাজার দৃশ্যটি অবশ্য ১৯৯১ সালের হলিউড সিনেমা হট শটসের অনুকরণে নির্মিত। ওই সিনেমায় নায়ক চার্লি শিন নায়িকা ভ্যালেরিয়া গোলিনোর পেটের ওপর বেকন ভেজেছিলেন।
ভারতীয় সিনেমায় ঐতিহ্যগতভাবে যৌ/ন দৃশ্য বা চুম্বন দৃশ্য দেখানো হয় না। এর কারণ এই অঞ্চলে আবেগের প্রকাশ্য প্রদর্শনকে ভালো চোখে দেখা হয় না। প্রকৃত ঘনিষ্ঠতা, মেক আউট বা যৌ/ন মিলনের জায়গায় ফিল্মগুলো যৌ/নতার ইঙ্গিত দেয়ার জন্য দুটি ফুলের ক্লোজ-আপ বা যুগলকে লুকানোর ছাতা বা গাছ দেখিয়ে এসেছে।
পুরুষোত্তম বলেন, ‘আমার মতে সমাজ হিসেবে, প্রকৃত যৌ/নতার চেয়ে আমাদের কাছে যৌ/নতার ইঙ্গিত বেশি গ্রহণযোগ্য। কোনো পুরুষ নারীর নাভি স্পর্শ করলে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু অন্য কোনো অঙ্গ স্পর্শ করলেই সিনেমাটি বিতর্কের মুখে পড়তে পারে। এমনকি তা নিষিদ্ধও হয়ে যেতে পারে।’
২০০০ সালের তামিল সিনেমা ‘কুশি’তে এক নারী তার নাভির দিকে তাকিয়ে থাকা পুরুষের সঙ্গে মারামারি করেন। ভারতীয় সিনেমায় ‘ব্যক্তিগত অঙ্গ’ প্রদর্শনে বিধিনিষেধ থাকায় নাভিকে শরীরের একটি যৌ/ন অংশ হিসেবে দেখানো হয় এবং এটি সহজেই দেখা যায়। এ অঞ্চলে নাভি শুধু শরীরের একটি আবেদনময় ও দৃষ্টিনন্দন অংশই নয়, কামোদ্দীপক অংশও।
পুরুষোত্তম ভারতীয় সিনেমায় ফুল, ছাতা এবং গাছ ব্যবহারের মতো ইঙ্গিতপূর্ণ যৌ/ন ক্রিয়াকে জাপানি প/র্নের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে তাদের অশ্লীলতার আইন এড়ানোর জন্য যৌ/নাঙ্গ ঝাপসা করা হয়।
পুরুষোত্তম বলেন, ‘জাপানে হেনতাইয়ের মতো হার্ডকোর প/র্ন রয়েছে। তারপরও সেখানে যৌ/নাঙ্গ ঝাপসা করে রাখা হয়। আমার মতে সাংস্কৃতিক দমন যৌ/ন আকাঙ্ক্ষা ও ফ্যান্টাসিগুলোকে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রকাশ করে।’
তেলেগু সিনেমার পরিচালক কে রাঘবেন্দ্র রাও প্রায়ই তার সিনেমায় নাভিকেন্দ্রিক যৌ/নতার দৃশ্য রাখেন। যেমন, ১৯৯১ সালের সিনেমা ‘চিন্না গুনদার’-এ নায়ক ভিজয়কান্ত নায়িকার পেটের ওপর একটি লাটিম রেখেছিলেন।
তবে, কেবল ভারতীয়দেরই নাভিপ্রীতি আছে বিষয়টি তেমনও নয়। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি নাভিকে একটি কামোদ্দীপক স্থান হিসেবে দেখে। জাপানে একটি বার্ষিক নাভি উত্সব রয়েছে।
আমেরিকার সিনেমাগুলো ১৯৩৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত হেইস কোড অনুসরণ করেছে। এ কোডের বিধিনিষেধের মধ্যে একটি ছিল, নাভিকে সব সময় ঢেকে রাখতে হবে। ১৯৫০ সালের সিনেমা সাম লাইক ইট হট-এ মেরিলিন মনরো এমন একটি পোশাক পরেছিলেন যাতে তার দেহের প্রায় পুরোটা দেখা গেলেও একটি ছোট কাপড়ে তার নাভি ঢাকা ছিল। ১৯৬০-এর দশকে কমিউনিটি গাইডলাইনের সঙ্গে এ অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে।
১৯৭০ ও ১৯৮০-র দশকে দক্ষিণ ভারতে সফটকোর প/র্ন সিনেমার উত্থান ঘটে। কাহিনি আইয়ার মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আরকের একটি ভিডিওতে বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাতারা তখন একটি আন্দোলন শুরু করেন যা ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ ও জার্মান আর্টহাউস সিনেমার মতো ছিল।
১৯৭৮ সালে আইভি শশীর সিনেমা ‘আভালুদে রাভাকাল’ ছিল এ-রেটিং পাওয়া প্রথম মালয়ালম সিনেমা। একইভাবে ভরথান পরিচালিত ‘রথিনিরভেদম’ এক কিশোরের সঙ্গে এক বয়স্ক নারীর প্রেমের মতো নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে। এ সময়ে মূলত দক্ষিণ ভারতে নির্মিত সফটকোর পর্ন ভারতজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সিল্ক স্মিতা ও ডিস্কো শান্তির মতো অভিনেত্রীরা এ সময়ে খ্যাতনামা হয়ে ওঠেন। ভরথান ও শশীর সিনেমাগুলো সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছিল।
ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সি এস ভেঙ্কিটেস্বরন তার বই ‘মালয়ালম সিনেমা: ন্যাচারালাইজিং জেন্ডার হাইরার্কিস’-এ লিখেছেন, ‘এই গল্পগুলো নারী দেহের যৌ/নতা প্রদর্শনের দারুণ এক সুযোগ দিয়েছে। সিমা (আভালুদে রাভুকালের নায়িকা) ও সুভার মতো অভিনেতারা কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছেন। তারা যে ধরনের যৌ/নতা প্রকাশ করছেন, যা এর আগে নৈতিক বা আদর্শতার কারণে বাতিল করা হয়নি। তাদের দেহকে ফ্রেমের সামনে ও বর্ণনার উভয় ক্ষেত্রেই সামনের দিকে রাখা হয়েছিল। নায়িকা নিজেকে এমনভাবে স্থাপন করায় ক্যাবারে বা খলনায়কের অশ্লীল আস্তানা তৈরির প্রয়োজন ছিল না।’
এসব মোটা কোমর ও বিশাল বক্ষা নারীর সঙ্গে আইয়ার তুলনা করেছেন প্রাচীন কুশনা সাম্রাজ্যের ইয়াক্সি (যক্ষী) মূর্তিগুলোর।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার এ সংস্কৃতি আসলে প্রাচীন আবেদনের ফল। কুশান সাম্রাজ্যের ইয়াক্সিদের (যক্ষী) মতো নাভি উন্মুক্ত করা শাড়ি পরিহিত মোটা কোমর ও বিশাল বক্ষা নারীদের প্রতি কামশক্তির প্রতিফলন এটি।’
চেন্নাইয়ের ২৫ বছর বয়সী প্রকৌশলী নরেন তামিল ও তেলেগু সিনেমা দেখে বেড়ে উঠেছেন। ম্যাগাজিন কিংবা সিনেমা সব জায়গায় তিনি নাভির প্রতি এ আকর্ষণ লক্ষ করেছেন।
ভারুণের মতো নরেনও অনেকগুলো নাভিসংক্রান্ত সাবরেডিটে (রেডিটের গ্রুপ) জড়িত। তিনি ভাইসকে বলেন, ‘আমার মতে নারী দেহে এটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ। আমি এও দেখেছি, কোনো সিনেমায় গ্ল্যামারাস দৃশ্যের প্রয়োজন না থাকলেও একটি আইটেম গান যুক্ত করা হয়, যেখানে অভিনেত্রীরা তাদের নাভি প্রদর্শন করেন।’
নরেনের একজন সঙ্গিনী আছেন, যার সঙ্গে তিনি নাভি নিয়ে খেলা উপভোগ করেন। এর মধ্যে রয়েছে স্পর্শ করা, হাত বোলানো, আঙুল দেয়া বা শুধু তাকিয়ে থাকা।
তিনি বলেন, ‘ডেটিং শুরুর আগে আমরা বন্ধু ছিলাম। তাই তার কাছে এটি প্রকাশ করা সহজ ছিল। নাভির প্রতি আমার আকর্ষণ সম্পর্কে আমি সব সময়ই সৎ। আমার সঙ্গিনী আমাকে এটা উপভোগ করতে দেয়।’
সিনেমার প্রভাবে মানুষের কি ভিন্ন ধরনের আকর্ষণ জন্মাতে পারে? ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যময় যৌ/নতাবিষয়ক মনোবিদ পম্পি ব্যানার্জির মতে, সিনেমার প্রভাবকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চারদিকে যে ধরনের ছবি রয়েছে সেগুলো আমাদের যৌ/নতার ওপর প্রভাব ফেলে। সিনেমা আমাদের আকাঙ্ক্ষার ধারণাকে আরও পূর্ণ করে তোলে। ভারতীয় সিনেমায় যৌ/ন দৃশ্য কম থাকে বলে নাভিকে যো/নিসংক্রান্ত যৌ/নতার একটি প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে নাভি নিয়ে খেলা যৌ/নকর্মের একটি বিকল্প হয়ে ওঠে।’
ব্যানার্জি নাভির সাংস্কৃতিক তাৎপর্যও তুলে ধরেন। প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ কামসূত্রে নাভিকে কামপূর্ণ জায়গা হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কামসূত্রে নাভির উল্লেখ আছে। এ থেকে ধারণা করা যেতে পারে, তখনকার মানুষও নাভি নিয়ে খেলতে পছন্দ করতেন।’
কামসূত্রে কীভাবে নাভিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় ও কীভাবে এর যত্ন নিতে হয় বা অলংকার দিয়ে সাজাতে হয় সে বর্ণনাও আছে।
ব্যানার্জি বলেন, ‘ভারতীয় অনেক গহনাই কোমরের সৌন্দর্যকে বিকশিত করে। নাভি প্রেম আসলে আমরা বংশানুক্রমিকভাবে পেয়েছি।’
যৌ/নতা ও উত্তেজনাকে পরিষ্কারভাবে দেখানো কোনো দৃশ্য ভারতীয় সেন্সর বোর্ডে এ-রেটিং পায়। এ কারণে নির্মাতারা স্বল্পবসনা অভিনেত্রীর নাভির কিছু উত্তেজক দৃশ্য সিনেমায় ঢুকিয়ে দেন। এতে করে এ-র বদলে সিনেমাটি ইউ/এ রেটিং পায়। এর অর্থ হলো, সিনেমাটি সাধারণ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত।
তবে, অনলাইনে ভারতীয় অভিনেত্রীদের নাভি নিয়ে এতটা হইচই হবে সেটা নিশ্চিতভাবেই চলচ্চিত্র নির্মাতারা ভাবেননি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অভিনেতা কারিশমা কাপুরের নাভির ভক্তদের নিয়ে খোলা একটি ফেসবুক গ্রুপে ২০ হাজারের বেশি সদস্য আছে। মাধুরী দীক্ষিতকে নিয়ে খোলা গ্রুপে আছে ৪২ হাজারের বেশি। রেডিটের সাবরেডিত ও গ্রুপে নাভিপ্রেমীদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। একজন রেডিট ব্যবহারকারী স্বীকার করেছেন, তিনি শুধু নাভিসংক্রান্ত যৌ/ন উত্তেজক পোস্ট দেন। কারণ এতে সাড়া বেশি আসে ও ফলোয়ার বাড়ে।
শুধু সিনেমাতেই নাভিকে যৌ/নতাপূর্ণ দেখানো হয় তা নয়। রিয়েলিটি টিভি সিরিজ শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়ায় এক কোম্পানি তাদের ‘বেলি বাটন শার্পার’ নিয়ে এসেছিল। তাদের এ পণ্য নাভিকে আরও গভীর ও বৃত্তাকার করে তুলবে এমনটাই ছিল দাবি। তবে এ পণ্যটি শার্ক ট্যাঙ্কের বিচারকদের মাঝে হাস্যরস সৃষ্টি করে এবং তারা একে বাতিল করে দেন।
ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেতা তাপসী পান্নুর দাবি, তেলেগু সিনেমার গানের শুটিংয়ের সময় তার পেটে একবার নারকেল ছুড়ে মারা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘অন্যদের দিকে ফুল বা ফল ছুড়ে মারা হয়। আমার সময় নারকেল ছুড়ে মারা হলো! আমি একেবারে প্রস্তুত ছিলাম না। আমি জানি না পেটে নারকেল লাগার মধ্যে উত্তেজক কোন বিষয়টা আছে।’
আরেক অভিনেতা ইলিয়ানা ডিক্রুজ ভারতের ডিএনএ পত্রিকাকে তার পেটে চীনামাটির তৈরি ঝিনুক ছুড়ে মারার ঘটনা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম তেলেগু সিনেমায় একটা দৃশ্য ছিল যেখানে একটা চীনামাটির তৈরি ঝিনুক স্লো-মোশনে আমার পেটের ওপর ফেলা হবে। ঝিনুকটা বেশ বড় ও ভারী ছিল। ওই দৃশ্যধারণের পর আমার পেটের পেশিগুলো ব্যথা করছিল। আমার বয়স ছিল ১৮ বছর, আর আমি তখন মোটেই বুঝতে পারছিলাম না বিষয়টিকে কেন সেক্সি হিসেবে ধরা হচ্ছে।’
জেকেএস/