• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৭০ বছর বয়সেও পেতে পারেন যৌ/ন আনন্দ, এই কথাগুলি মেনে চললেই কেল্লাফতে

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৩, ০২:০৩ এএম

৭০ বছর বয়সেও পেতে পারেন যৌ/ন আনন্দ, এই কথাগুলি মেনে চললেই কেল্লাফতে

ছবি: সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক

যৌ/নতা, উদ্দাম ভালবাসা ওসব আসলে কম বয়সের ব্যাপার। বয়স বাড়লে মানুষ নাতিপুতি নিয়েই ঘোর সংসারী হবে, এটাই স্বাভাবিক। কোনও বৃদ্ধ দম্পতি যদি পরস্পরের হাত আঁকড়ে পথ চলে তাহলে তা দারুণ রোম্যান্টিক। কিন্তু তাঁরা এর বেশি ঘনিষ্ঠ হচ্ছে ইঙ্গিত পেলেই ছি ছি… সংক্ষেপে এই ধরনের সব স্টিরিওটাইপ আমাদের ঘিরে রাখে। অথচ জীবনের সন্ধেবেলায়, ষাট বা সত্তর পেরিয়েও শরীরী সান্নিধ্য দিতে স্বর্গীয় সুখ! এমনটাই দাবি যৌ/নতা বিশেষজ্ঞদের। নাটালি উইলটন নামের এক থেরাপিস্ট জানিয়েছেন, এই বয়সে শরীরী সম্পর্ক হয়ে উঠতেই পারে চরম উত্তেজক। কেবল মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়:

ধীরে চলো
বয়সটার কথা কিন্তু ভুললে হবে না। বয়স যত বাড়ে ততই যৌ/নতায় (Physical intimacy) সাড়া দেওয়ার প্রক্রিয়া ধীরগতির হয়ে যায়। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে। তাই যৌ/নতার শুরুটা হোক ধীরে ধীরে। তাহলেই একসময় শরীরী উত্তেজনার পারদ ঠিকপথে চড়বে। তাছাড়া যাঁদের শরীরে নানা সমস্যা রয়েছে, তাঁদের রাতে সেই সমস্যা আরও বাড়ে। ফলে সকালের দিকে কিংবা বিকেলে ঘনিষ্ঠ হওয়াই ভাল।

বিছানা হোক মনমতো
যৌ/নতা হতে হবে চরম আরামদায়ক। তাই বিছানাটা হতে তদরূপ। অর্থাৎ বালিশ থেকে অন্যান্য সামগ্রী যেন মজুত থাকে বিছানায়। তাহলেই শরীরী সান্নিধ্য হয়ে উঠবে চরম তৃপ্তিদায়ক।

অনলাইনে থাকুক ভরসা
এই বয়সের যৌ/নতার ক্ষেত্রে মহিলাদের সমস্যা যোনিপথের পিচ্ছিলতা কমে যাওয়া। তাই পিচ্ছিলকারক পদার্থ ব্যবহার করা যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় দোকান বা অন্যত্র কেনাকাটিতে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হতে পারে। তাই অনলাইনেই থাকুক ভরসা।

নতুন ছোঁয়া
নতুন করে চিনতে শিখুন যৌ/নতাকে। স্পর্শ ও ঘনিষ্ঠতার ভাষাকে নিজেদের মতো করে গড়তে পারলেই প্রবীণ জীবনে নতুন করে ভালবাসার সংজ্ঞা তৈরি হবে। মনে রাখতে হবে, এই বয়সে পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হওয়া কিংবা দ্রুত সঙ্গীর ছোঁয়ায় সাড়া দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই নতুন নতুন ছোঁয়ার ভাষায় ভালবাসাকে গড়ে নিন নিজের মতো করে। দেখবেন নিভে যাওয়া আগুন দপ করে জ্বলে উঠবে। তারপর তা দাউদাউ কামনার আগুনে শরীরময় ছড়িয়ে পড়তে থাকবে।

থাকুন পজিটিভ
যে কোনও বয়সেই যৌ/নতায় সফল হতে গেলে আত্মবিশ্বাস একটা জরুরি হাতিয়ার হতে পারে। এই বয়সে তার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি। ‘আমি পারব’ এই বিশ্বাস ষাট বা সত্তর পেরিয়েও আপনাকে সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় করে তুলতে পারে অনুপম। বিশ্বাসকে সঙ্গী করে এগিয়ে চললে বয়স নামের বাধাটাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারা সম্ভব।

আর্কাইভ