প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৩, ০৫:৪২ পিএম
একটা প্রবাদ আছে, সকালে খাও রাজার মতো, দুপুরে প্রজার মতো আর রাতে ভিখারির মতো। এটাই স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাবারডিনের সাম্প্রতিকতম গবেষণার ফলাফলে আবারও প্রমাণিত হলো প্রবাদটির সঠিকতা।
গবেষণায় বলা হচ্ছে, সকালে যত বেশি আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন, সারাদিনে আপনার খিদে লাগার প্রবণতা ততই কম থাকবে। শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেমও ঠিক থাকবে। এর সঙ্গে রাতে অল্প খেলে সেটা হতে পারে আপনার ওজন কমানোর সবচেয়ে সহায়ক শক্তি।
এই গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, আমাদের খাদ্যাভ্যাস কীভাবে আমাদের দেহঘড়িকে প্রভাবিত করে, সেটা দেখা। গবেষণায় দেখা গেছে, খাওয়ার জন্য সকাল সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। আর সন্ধ্যা সবচেয়ে অনুপযুক্ত। কেননা, সন্ধ্যা হলেও আমাদের দেহঘড়ি শরীরের মেটাবলিজমকে ঘুমের কথা জানান দেয়।
৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই গবেষণায় অংশ নেন। দুই মাস ধরে প্রতিদিন তাদের ১ হাজার ৭০০ ক্যালরির খাবার দেয়া হয়। সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার আর সন্ধ্যার খাবার— এই তিন ভাগে ভাগ করা হয় তাদের ক্যালরি। প্রথম মাসে সকালের খাবারে ক্যালরি ছিল সবচেয়ে বেশি (মোট ক্যালরির অর্ধেক), দুপুরের খাবারে কম, সন্ধ্যার খাবারে সবচেয়ে কম। পরের মাসে উল্টো পদ্ধতিতে খাবার দেয়া হয়। সকালে সবচেয়ে কম, দুপুরে আরেকটু বেশি, সন্ধ্যায় সবচেয়ে বেশি।
‘সেল মেটাবলিজম জার্নাল’– এ প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের খাওয়া মেটাবলিক হারের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। প্রভাব ফেলে সকালের খাওয়া। এটিই শরীরের স্বাভাবিক বিপাকীয় কর্মকাণ্ড সচল রাখে। সকালের ভারী নাশতা ক্ষুধা নিবৃত রাখতেও সাহায্য করে।
সকালের ভারী নাশতায় সম্ভাব্য কী কী থাকতে পারে, পুষ্টিবিদদের পরামর্শে তারও একটা তালিকা দেয়া হয়েছে। ওটমিল, প্যানকেক, স্যান্ডউইচ, আটার রুটি, খিচুড়ি, পাউরুটি, স্মুদি, দই, ডিম, সসেজ, মাশরুম, ফল, গ্রিন টি।
এ গবেষণায় অন্যতম গবেষক অধ্যাপক জসস্টোন বলেন, ব্যস্ততম জীবনে মানুষ সর্বোচ্চ সময় ঘুমাতে চান। আর এ কারণে তারা প্রায়ই সকালের নাশতা না খেয়েই বেরিয়ে পড়েন। রাতে ভারি খাবার খান। এটা একদম ভুল।
বিএস/