প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ১০:২৯ পিএম
তীব্র গরমে অতীষ্ঠ জনজীবন। মাঝে মাঝে বৃষ্টির দেখা পেলেও তাপমাত্রা তেমন কমছে না। আবার এই গরমে ফ্যানের বাতাসেও প্রশান্তি মিলছে না। তাই বেশিরভাগ মানুষই ঠান্ডা হতে এয়ার কন্ডিশন বা এসি ব্যবহার করছেন।
তবে দিনের বেশিরভাগ সময় এসিতে থাকা কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয়। আর সব সময় এসির মধ্যে থাকলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। না হলে বড়সড় জটিলতা শরীরে দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেন, এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর তাপমাত্রা ঠিক কত থেকে কত এর মধ্যে রাখতে হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। না হলে সুস্থ মানুষের শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
এ বিশেষজ্ঞের মতে, আমাদের শরীরের হিট ম্যাকানিজম বলে একটি প্রক্রিয়া আছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক তাপমাত্রার সঙ্গে শরীর নিজেকে মানিয়ে নেয়। তবে এসি খুব কম তাপমাত্রায় চালানো থাকলে বাইরের সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্য তৈরি হয়। এই কারণে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। এ ছাড়া অনেকেই বাইরে থেকে এসে সরাসরি এসিতে প্রবেশ করার ফলে দেহের তাপমাত্রা হুট করেই বদলে যাচ্ছে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এসির তাপমাত্রা নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন ডা. রুদ্রজিৎ পাল।
কোন তাপমাত্রায় এসি চালানো উচিত?
এ বিষয়ে চিকিৎসক জানান, এসির তাপমাত্রা সঠিক লেভেলে রাখা উচিত। ২২-২৮ এর মধ্যে এসির তাপমাত্রা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
এই তাপমাত্রার মধ্যে শরীর নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আবার সর্দি-জ্বর হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই চেষ্টা করুন এই তাপমাত্রায় যেন এসি থাকে।
এ ছাড়া রাতে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই এসির তাপমাত্রা রাতের বেলা ১৬-১৮ তে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাস কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ ঘুমিয়ে পড়ার পর শরীরের তাপমাত্রা কিন্তু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রিত হয় না।
আর ঘরে যদি ছোট শিশু থাকে কিংবা সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত কেউ থাকেন, তাহলে এসি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। আর অবশ্যই অ্যাজমা ও সিওপিডি রোগীরা সচেতন থাকুন।
এডিএস/