প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৩, ০৫:৪৩ পিএম
দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়ের ফুলশয্যার রাতকে প্রথম বিয়ের ফুলশয্যার মতোই সুখকর, অ্যাডভেঞ্চারাস করে তুলতে চান? রোমান্টিক মুহূর্তে কুমারীত্ব হারালেও সমস্যা নেই। গোপনাঙ্গের ছিন্ন হওয়া বিশেষ পর্দা নতুন করে জোড়া লাগানো সম্ভব। নতুন প্রেমিক বা নতুন স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের আগে হাইমেন জোড়া লাগিয়ে নেওয়া মেয়েদের আজকাল বিশেষ ট্রেন্ড। আর সেখানে বয়স কোনও ফ্যাক্টরই নয়। মধ্য তিরিশ বা চল্লিশ ছুঁইছুঁই, যৌ/নতায় পোড়খাওয়া নারীও দিব্যি ফিরে পেতে পারেন কুমারীত্ব!
কথিত আছে, প্রথমবার কোনও পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হওয়ার সময় নারীর হাইমেন (ছোট্ট রিং আকারের পর্দার মতো মেমব্রেন) ছিন্ন হলে অর্থাৎ সতীচ্ছদ হলে অল্প ব্লিডিং হয়। আগে এই সতীচ্ছদ নিয়ে নারীর সতীত্ব পরীক্ষা করা হত। এখন অবশ্য সেই জমানা নেই। সতীত্ব প্রমাণের চেষ্টার বদলে বেশিরভাগই নিছক শখে বা দ্বিতীয় ফুলশয্যার স/ঙ্গমকে আরও মধুর করতে হাইমেন জোড়া লাগাচ্ছেন। কিন্তু কী করে তা সম্ভব?
হাইমেনোপ্লাস্টি
প্লাস্টিক সার্জন ডা. প্রবীর যশ জানালেন, ছোট্ট একটা সার্জারি করিয়ে নিলেই এক নিমেষে গোপনাঙ্গ হয়ে যাবে কুমারী মেয়ের ভ্যাজাইনার মতো সতীত্ব পর্দাযুক্ত। ব্রোকেন হাইমেন রিকনস্ট্রাক্ট করার এই সার্জারির নাম হাইমেনোপ্লাস্টি (Hymenoplasty)। খরচ মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই। সার্জারির আগে শিরদাঁড়ায় ইঞ্জেকশন দিয়ে বা লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করে অবশ করে দিতে হয়। তারপর মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে প্লাস্টিক সার্জন অথবা বিশেষ ট্রেনিং নেওয়া গাইনোকলজিস্ট সেলাই করে জুড়ে দেন অতীতে ছিন্ন হয়ে দু’দিকে গুটিয়ে থাকা পর্দা।
অস্ত্রোপচারের কয়েক ঘণ্টা বাদেই বাড়ি যেতে পারেন রোগিণী। স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যাবে পরের দিন থেকেই। তবে সার্জারির অন্তত চার সপ্তাহ পর স/ঙ্গমে লিপ্ত হওয়া উচিত। এই ক’টা দিন খেলাধূলা, সাইক্লিং, স্কুটি চালানো বা অন্যান্য অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম এড়িয়ে চলাই কাম্য।
ডাক্তারি মতে, প্রথম মিলনের সময় মেয়েদের সতীচ্ছদ হয়ে রক্তপাত হতেই হবে এমন কোনও কথা নেই। মহিলা খেলোয়াড়, অ্যাথলিট, যোগ-ব্যায়াম, সাঁতার, সাইক্লিং করা মেয়েদের কায়িক পরিশ্রমের সময় হাইমেন পর্দা যৌ/ন জীবন শুরুর আগে ছিঁড়ে যেতেই পারে।