প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৩, ০১:১৬ এএম
তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই কাঁচা আমের শরবত পান করেন। অনেকে আবার কাঁচা আমে লবণ মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন তরকারি, ডাল কিংবা চাটনিতে মিশিয়ে খাওয়া হয় কাঁচা আম। কিন্তু কাঁচা আম শুধু স্বাদেই ভালো নয়, ভালো স্বাস্থ্য রাখতেও অবদান রাখে।
পাকা আমে যত ভিটামিন আছে, তার চেয়ে কিছুতে কম নেই কাঁচা আমে। ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেটসহ প্রচুর পুষ্টি রয়েছে কাঁচা আমে। তাই সবার কাঁচা আমের গুণাগুণ ও উপকার সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
অন্য তাজা ফলের তুলনায় চিনির পরিমাণ কম থাকে কাঁচা আমে। এক কথায় বলতে গেলে কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে না। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসেই খেতে পারেন কাঁচা আম।
ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কাঁচা আম হার্ট সুস্থ রাখে। এই দুটি উপাদান রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হার্টও সুস্থ রাখে। কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন ও খনিজগুলো রক্তনালি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এ ছাড়া আমে ম্যাঙ্গিফেরিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। ইমিউনিটি বাড়ায় ভিটামিন সি, ভিটামিন-ই এবং একাধিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে কাঁচা আমে। এসব উপাদান শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
হজমে সাহায্য করে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাঁচা আম। কাঁচা আমের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইলেস নামক পাচক এনজাইম। ফলে খাবার খুব ভালোভাবে হজম হয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখতে ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা আমের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
কাঁচা আমে ভিটামিন ‘এ’ থাকায় চোখও ভালো রাখে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন ‘এ’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন থাকে কাঁচা আমে। চোখের রেটিনা ভালো রাখতে এই দুটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী।
এডিএস/