প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০৫:০১ পিএম
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক এমন থাকা দরকার যাতে সহজেই একজনের মনের কথা অন্যজনের কাছে পৌঁছে যায়। তাহলেই সম্পর্ক ঠিকমতো এগিয়ে যায়। বিষয়টি পুরুষ ও নারী উভয়েই খুব ভালো করে জানেন। এরপরও কিছু কিছু কথা স্ত্রীরা কখনওই স্বামীর কাছে বলেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীরা স্বামীর কাছে প্রায় সব কথাই বলেন। কিন্তু এরপরও কিছু কথা তাদের মস্কিষ্কে রয়ে যায়, যা তারা কখনোই প্রকাশ করেন না। কোন বিষয়গুলো নারীরা স্বামীর কাছে লুকান?
পুরনো গভীর সম্পর্ক
সবার জীবনেই কোনো না কোনো অতীত থাকে। তবে এ অতীত কারও কারও কাছে একটা অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে রয়ে যায়। বিশেষ করে, নারীর জীবনে যদি কোনো প্রেমের কাহিনী পূর্ণতা না পায় তখন তার জীবনে এটি অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটি ভুলে যেতে চান। তাই বিয়ের পর পুরনো কোনো সম্পর্কের কথা নারীরা স্বামীর কাছে বলেন না। এ বিষয়টা সবসময় চেপে যেতে চান। স্বামী এ বিষয়টি জানলে সমস্যা হতে পারে এমন একটি ভয় তাদের মনে সবসময় কাজ করে।
জমানো টাকা
নারীদের কাছ থেকে জমানো টাকার কথা বের করা পৃথিবীর কঠিনতম কাজগুলোর মধ্যে একটি। আপনি তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনো না কোনো কৌশলে তা এড়িয়ে যাবেই। ছোটবেলা থেকে তাদের এমন মানসিকতা থাকে। কারণ তারা নিজের মাকেও একই কাজ করতে দেখেছেন। তাই তিনি যখন স্ত্রী হলেন তখন তিনিও একই কাজ করছেন। তাই জমানো টাকার কথা তাদের মুখ দিয়ে কখনোই বের করা যায় না।
নিজের পরিবারের সমস্যার কথা
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকবে। তবে নারীরা যতটা সম্ভব সে সমস্যার কথা গোপন রাখার টেষ্টা করেন। বিশেষত, নিজের বাপের বাড়ির কোনো জটিল সমস্যার কথা হলে তারা সেটি ভুলেও স্বামীর কাছে প্রকাশ করতে চান না।
বান্ধবীদের কথা
নারীরা নিজের বান্ধবীদের কথা স্বামীর কাছে সাধারণত বলতে চান না। এমনকি কোনো সমবয়সী নারীর কথাও নিজের স্বামীর কাছে বলতে চান না তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের মনে সম্পর্ক নিয়ে সবসময় একটি অনিশ্চয়তা কাজ করে। তাই তারা নিজের কাছের বান্ধবীদের কথা স্বামীর কাছে সবসময় চেপে যান। যতটা সম্ভব এ বিষয়ে নিজের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করেন।
বড় কোনো ভুল
যেকোনো মানুষেরই ভুল হতে পারে। ভুল করা মানুষের একটি স্বাভাবিক বিষয়। এতে অস্বাভাবিক কিছুই নেই। তবে নারীরা বড় কোনো ভুলের কথা স্বামীর সামনে বলতে চান না। তারা হয়তো ভাবেন, এ ভুল তাদের সম্পর্কে গুরুতর প্রভাব ফেলবে। তাই তারা নিজের ভুলের কথা স্বামীর কাছে এড়িয়ে যান।
তবে স্বামীদের উচিত স্ত্রীদেরকে এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন না করা ও জোর করে শুনতে না চাওয়া। কারণ, এতে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে।