প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ০২:২৭ এএম
পর্তুগালের গবেষক অ্যাডাম হালমানের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, যে সমস্ত মহিলা বেশী খেতে ভালোবাসেন আর যাদের শরীর বেশী স্থুলকায় তারা স্বামীর ডায়াবেটিস বাধাতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।তবে স্ত্রী’র ডায়াবেটিস বাধাতে স্বামীর মোটা হওয়া বা না হওয়াতে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না বলেই গবষেণায় প্রমানিত হয়েছে। আর এর কারণ হিসেবে পাওয়া যায় যে, যে সমস্ত পুরুষ বেশী খেতে পছন্দ করেন বা যাদের খাবারের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে তারাও বেশীরভাগ সময় স্ত্রীদেরকে স্লিম দেখতেই পছন্দ করেন।
গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণে আরও দেখা যায় যে, মাঝবয়সী মহিলাদের মধ্যে যারা খুব মোটা হয়ে থাকে, তারাই অল্প বয়সী স্ত্রীদের থেকে স্বামীর ডায়াবেটিস বাধাতে বেশী ভূমিকা রাখেন। এছাড়া স্লিম বা হালকা গড়নের মহিলাদের স্বামীরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন অনেক কম পরিমানে।
এসবের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে যে, যে সমস্ত মহিলা মোটা, তারা তাদের স্বামীদের চেহারার গড়ণ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। বরং তারা কোনো না কোনোভাবে স্বামীদের বাড়তি খেতেই বরং উৎসাহিত করেন। তাছাড়া রান্নাবান্নার বিষয়টি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে তাদের পছন্দের খাবার দাবারগুলো দ্বারাই তাদের স্বামীরা প্রভাবিত হয়ে থাকেন। আর এভাবে খাদ্যাভাসের কারণে তাদের ডায়াবেটিসের প্রবণতা বেড়ে যায়।
গবেষণায় পাওয়া যায়, খাদ্যাভাস আর ব্যয়াম করার প্রবণতার উপর পুরুষদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া না হওয়ার বিষয়টি অনেকখানি নির্ভর করে। আর এ বিষয় দুটিতে স্ত্রীদের উপর পুরুষদের প্রভাব সামান্য। কিন্তু স্বামীদের উপর স্ত্রীদের প্রভাব বেশ ব্যাপক। কাজেই পুরুষের স্বাস্থ্যও নির্ভর করে স্ত্রীদের তৎপরতার উপর। তাছাড়া মোটা স্ত্রীরা অনেক সময় স্বামীদের চেহারা নিজেদের সংঙ্গে মানানসই করার জন্যও অনেকটা সচেতন থাকেন। সেক্ষেত্রে তারা ইচ্ছে করেই স্বামীদের খাওয়ার প্রতি বেশী যত্নশীল হন।
গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক আরহুস ইউনিভার্সিটির অ্যাডাম হালমান জানান, ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরষ্পরের উপর প্রভাব বিষয়ে বিশ্বে এটাই প্রথম গবেষণা। ইউরোপিয়ান এসোসিয়েশন ফর স্টাডি অব ডায়াবেটিস ইন পর্তুগালের বার্ষিক আলোচনা সভায় এই গবেষণায় তথ্য উপস্থাপন করা হয়।