প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩, ১১:৫৭ পিএম
নিউ ইয়র্কের লেখক সুসান শাপিরো বারাস ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহিলাদের পরকীয়ায় জড়ানো নিয়ে নানা গবেষণা করছেন। কোন তথ্য উঠে এল তাঁর সমীক্ষায়?
পরকীয়া মানেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল ওঠে পুরুষের দিকে। পরকীয়া কারা করেন? কেনই বা করেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। কিন্তু হালের বেশ কয়েকটি সমীক্ষা বলছে, পুরুষ নয়, পরকীয়ায় সমান আগ্রহী হন মহিলারাও। আর যৌন জীবনে একঘেয়েমির কারণেই সে দিকে ঝুঁকছেন মহিলারা।
নিউ ইয়র্কের লেখক সুসান শাপিরো বারাস ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহিলাদের পরকীয়ায় জড়ানো নিয়ে নানা গবেষণা করছেন। তাই একাধিক বইতেও উঠে এসেছে এই বিষয়টি। সম্প্রতি সুসান মহিলাদের পরকীয়া নিয়ে একটি সমীক্ষা চালান। তাতে দেখা যায় কেবল অল্প বয়সি তরুণীরাই নয়, ৫৫ বছর পার করার পরেও মহিলাদের মধ্যে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় প্রবণতা থাকে। বিভিন্ন বয়সি মহিলাদের নিয়ে সমীক্ষা করে দেখেছেন যে, ঋতুবন্ধের পরেও মহিলারা পরকীয়ার দিকে ঝুঁকছেন। শুধু তা-ই নয়, ৮০ বছরের মহিলারাও পরকীয়তার কথা স্বীকার করেছেন। সুসান যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন সেই সব মহিলাদের মধ্যে পরকীয়ায় জড়ানোর বিষয় কোনও রকম আক্ষেপও নেই।
সুসানের সমীক্ষায় বেশি বয়সের মহিলারা কেন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তার চার প্রধান কারণ উঠে এসেছে।
১) কোনও সংস্থার উচ্চ পদস্থ পুরুষকর্মী অধিকাংশ সময়ে তাঁদের ক্ষমতা দেখিয়ে কম বয়সি মহিলা কর্মীদের সঙ্গে পরকীয়া করার কথা হামেশাই শোনা যায়। একই ভাবে বেশি বয়সি মহিলারাও কিন্তু অল্প বয়সের কর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন, কেউ ক্ষমতা হারানোর ভয় কেউ আবার বয়সে বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে।
২) দাম্পত্যে শারীরিক সুখ না পেয়েও কিছু কিছু মহিলা বেশি বয়সেও অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হন, তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
৩) যে সব মহিলা জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই সংসার, স্বামী আর ছেলেমেয়ের জন্য ব্যয় করেছেন তাঁরা স্বামীর থেকে তেমন ভালবাসা না পেয়ে পরকীয়ার দিকে ঝুঁকছেন। শারীরিক সুখ পেতে নয়, জীবনে একটু ভালবাসা পেতে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
৪) একটি বয়সের পর মহিলাদের যৌন চাহিদা কমে যায়, এমনটা নয়। তবে তাঁরা একই রকম যৌনজীবন কাটাতে পছন্দ করেন না, বৈচিত্রের খোঁজ করেন।