সজনে একটি অতি পরিচিত পুষ্টি ও খাদ্য গুণ সমৃদ্ধ সবজি। এই সবজিটি প্রায় ৩০০ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনের সাথে অত্যাবশ্যকীয় সব এমিনো এসিড সজনে পাতায় আছে বলে সজনেকে পুষ্টির ডিনামাইট বলা হয়। পুষ্টি ঘাটতি পূরণে সজনে ডাটার পাশাপাশি সজনে পাতাও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সজনের উপকারিতা গুলো জেনে নিন-
ব্লাড প্রেসার রোগীদের জন্য লবণ খুবই ক্ষতিকর, কিন্তু পটাসিয়াম লবণ কোন ক্ষতি করে না। সজনে ডাটায় সোডিয়াম ক্লোরাইড নেই । আর তাই এতে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রিত থাকে।
বসন্ত রোগ প্রতিরোধে সজনে ডাটা এবং ফুল ভাজা বা তরকারি করে খাওয়া হলে জল বসন্ত ও গুটি বসন্তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে না। সজনে ফলের নির্যাস যকৃত ও প্লীহার অসুখে, ধনুষ্টংকার ও প্যারালাইসিসে উপকারী।
শরীরে রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে সজনে। মানবদেহে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে পানি দিয়ে সজনে ডাটা সেদ্ধ করে তার কস্ফাথ এবং ডাটা নিয়মিত চিবিয়ে খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
সজনের ডাটা রক্ত সংবহনতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। ১০০ গ্রাম সজনে প্রোটিন পাওয়া যায় ২.৫ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৩.৭ গ্রাম, ক্যালরি ২৬, ভিটামিন বি ৪২৩ মি. গ্রাম, ভিটামিন সি ১২০ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মি. গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৪ মি. গ্রাম, ফসফরাস ২৫৯ মি. গ্রাম, পটাসিয়াম ১১৬ মি. গ্রাম. আয়রন ৫.৩ মি. গ্রাম এবং সালফার ৩৭ মি. গ্রাম।
সজনে ডাটায় রয়েছে অ্যামাইনো এসিড। সজনেকে খনিজ পদার্থের শক্তিঘর বলা হয়।
দুধে এবং সজনা ডাটায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ যথাক্রমে ১২০ মি. গ্রাম এবং ৪৪০ মি. গ্রাম, কলায় পটাসিয়াম পাওয়া যায় ৮৮ মি. গ্রাম, তার তুলনায় সজনে পাবেন ২৫৯ মি. গ্রাম।
ব্লাড সুগার রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখে সজনের পুষ্টি। কারণ এতে আছে ডায়াটিরি ফাইবার।