প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩, ০২:০৯ এএম
ব্যস্ত জীবনে ফ্রিজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। যেহেতু দিনে ২৪ ঘণ্টাই ফ্রিজ চলে। ফলে মাসের শেষে একটা মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল আসা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। বিল দেখে স্বাভাবিক ভাবেই কপালে ভাঁজ পড়ে। বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে বলে তো ফ্রিজ ব্যবহার করা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি উপায় মেনে চললে সারা দিন ফ্রিজ চালিয়েও কম আসবে বিদ্যুৎ বিল। চলুন জেনে নেয়া যাক সে উপায়গুলো-
ফ্রিজ কখনো খালি রাখবেন না
অনেকের ধারণা, ফ্রিজে বেশি জিনিসপত্র রাখলেই বুঝি বিল বেশি ওঠে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। ফ্রিজের ভেতরে জায়গা ফাঁকা থাকলে তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতাও তত কমে যাবে। তাই ফ্রিজ খালি অবস্থায় না চালানোই ভালো। এতে বিল বেশি ওঠে। ফ্রিজে পর্যাপ্ত খাবার রাখুন। তবে ফ্রিজে খাবারগুলো এমন ভাবে রাখুন যেন যথেষ্ট বাতাস চলাচল করতে পারে।
গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন না
তাড়াহুড়োয় অনেকেই গরম খাবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে নেন। ফ্রিজে খাবার ঢোকানোর আগে ঠান্ডা করে নিন। গরম খাবার ফ্রিজে ঢোকালে সেটা ঠান্ডা করতে কম্প্রেসরের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে বাড়তি বিদ্যুৎও খরচ হয়।
দরকার না পড়লে ফ্রিজ বন্ধ করে রাখুন
অনেকের বাড়িতে কোনো দরকার ছাড়াও অনেক সময়ে ফ্রিজ চালানো থাকে। ফ্রিজে রাখার মতো কোনো খাবার বা শাকসবজি না থাকলে ফ্রিজ বন্ধ করে রাখুন। এতে কিছুটা হলেও বিদ্যুৎ বিল কম উঠবে।
প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা নির্ধারণ করুন
আবহাওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক করুন। শীত আর গরমে ফ্রিজের তাপমাত্রা একই হবে না। গরমে ফ্রিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে রাখতে পারেন। তবে মাঝেমাঝে ফ্রিজ ঠান্ডা হয়ে গেলে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দিতে পারেন।
ফ্রিজের দরজা খুলে রাখবেন না
ফ্রিজ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস বের করে নিয়ে অনেকেই ফ্রিজের দরজা বন্ধ করতে ভুলে যান। এটি একদমই ঠিক নয়। ফ্রিজের দরজা খুলে রাখলে ভেতরের ঠান্ডা বেরিয়ে যায়। ফলে কম্প্রেসারের উপর চাপ পড়ে। ফ্রিজ নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ করে।